বুধবার ঢাকার জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ‘জুলাই যোদ্ধাদের জন্য অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ’-এর সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি
উপদেষ্টা বলেন, দেশের স্বার্থেই জুলাই যোদ্ধাদের মিডিয়া ইকোসিস্টেমে আসা প্রয়োজন। মিডিয়ায় ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য তাদেরকেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এখনো মিডিয়াতে আওয়ামী লীগের অনুসারীরা বিভিন্ন স্তরে বসে আছেন। তাদের হয়তো খালি চোখে দেখা যাচ্ছে না, কিন্তু দ্বিতীয় বা তৃতীয় লেয়ারে তারা অবস্থান করছে এবং বিভিন্নভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।
মাহফুজ আলম জানান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি), জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট (এনআইএমসি) এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (বিসিটিআই) জুলাই যোদ্ধা ও গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারের সদস্যদের সাংবাদিকতা ও চলচ্চিত্র বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করছে।
তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে অন্তত ৩০০ জন জুলাই যোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যকে সাংবাদিকতা ও ফিল্ম বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, পরবর্তী নির্বাচিত সরকারও নৈতিক দায়বদ্ধতা থেকে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
জুলাই যোদ্ধাদের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, আপনারা চেতনা, মননে ও প্রেরণায় ‘জুলাই যোদ্ধা’। কর্মক্ষেত্রে এই পরিচয় যেন সৃজনশীল কাজের চেয়ে বড় হয়ে না ওঠে, সেটি মনে রাখতে হবে। পেশাগত জীবনে আপনাদের অবস্থান হবে সত্যের পক্ষে, বাংলাদেশের পক্ষে এবং দেশের সার্বভৌমত্বের পক্ষে।
তিনি প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগের আহ্বান জানান এবং বলেন, সাংবাদিকতা মানে কেবল সংবাদ পরিবেশন নয়, এটি সমাজ পরিবর্তনের একটি শক্তিশালী মাধ্যম।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নূর মো. মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক মোহাম্মদ আবু সাদেক ও সুমনা পারভীন।
প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষ থেকে জুলাই যোদ্ধা আমিনুল ইসলাম ইমন ও সোহেলী তামান্না প্রশিক্ষণ আয়োজনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক তানজিম তামান্না। অনুষ্ঠানের শেষে প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া ১৬ জন জুলাই যোদ্ধাকে সনদপত্র প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
