যে কারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না মামদানি

যে কারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না মামদানি

নিউইয়র্কের মেয়র পদে জোহরান মামদানির জয়ের পর তার প্রচারণাকে বারাক ওবামার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার ঐতিহাসিক দৌড়ের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। কিন্তু মামদানি কি হোয়াইট হাউজে সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারবেন? এর উত্তর হলো- না। মামদানি ২০১৮ সালে মার্কিন নাগরিক হয়েছিলেন, কিন্তু জন্মের সময় তিনি নাগরিক ছিলেন না যা বর্তমান আইন অনুসারে একজন ব্যক্তির প্রেসিডেন্ট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য বাধ্যতামূলক।

মামদানি ১৯৯১ সালে উগান্ডায় ভারতীয় মা-বাবার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন, যাদের কেউই তখন মার্কিন নাগরিক ছিলেন না এবং সাত বছর বয়সে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন।

নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে ৬০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জিতলেন জোহরান মামদানি। ৯১ শতাংশ ভোট গণনা শেষে দেখা গেছে, মামদানি পেয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি (৫০ দশমিক ৪ শতাংশ) ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমো পেয়েছেন প্রায় ৮ লাখ ৫০ হাজার (৪১ দশমিক ৬ শতাংশ) ভোট।

আর রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস সিলওয়া পেয়েছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ১৩৭ ভোট (৭ দশমিক ১ শতাংশ)

অর্থাৎ, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে প্রায় দেড় লাখ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন মামদানি।

সর্বশেষ হিসাবে, মামদানির প্রাপ্ত ভোট ১০ লাখ ৩৬ হাজার ৫১টি, যা ১৯৬৫ সালের পর কোনো নিউইয়র্ক মেয়র প্রার্থী পাওয়া সর্বোচ্চ ভোট। এর আগে ১৯৬৫ সালে রিপাবলিকান প্রার্থী জন লিন্ডসে পেয়েছিলেন ১১ লাখ ৪৯ হাজার ১০৬ ভোট।

শহরের রেকর্ড অনুযায়ী, ১৯৬৫ সালের এই সংখ্যাও আগের দুটি নির্বাচনের তুলনায় কম ছিল। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী রবার্ট এফ. ওয়াগনার জুনিয়র ১৯৬১ সালের নির্বাচনে ১২ লাখ এবং ১৯৫৭ সালের নির্বাচনে ১৫ লাখেরও বেশি ভোট পেয়েছিলেন, যা এখন পর্যন্ত নিউইয়র্ক মেয়র নির্বাচনের সর্বোচ্চ ভোট রেকর্ড।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on email