
বুধবার (৫ নভেম্বর) মধ্যরাতে জেলার রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের কোয়েপাড়া চৌধুরী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- আব্দুল্লাহ সুমন, ইসমাইল, খোরশেদ, রুবেল ও সোহেল। এদের মধ্যে সুমনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয়রা জানান, মোটরসাইকেল ও একটি গাড়িতে করে এসে দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। পরে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়। এরপর গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গুলিবিদ্ধ পাঁচজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। সুমন নামে বিএনপির এক কর্মীর বুকে গুলি লেগেছে। তার অবস্থা গুরুতর।
এ ব্যাপারে রাউজান–রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধান চলছে।’
এলাকাবাসীর দাবি, ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতে দেরি করেছে। অনেক আগেই হামলাকারীরা চলে গেছে। রাতের এ গুলির ঘটনায় পুরো কোয়েপাড়া এলাকাজুড়ে এখন আতঙ্ক।
এর আগে একইদিন সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকায় গণসংযোগের সময় গুলিবিদ্ধ হন চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। সেই সময় গুলিতে নিহত হন তার সঙ্গে গণসংযোগে থাকা সরোয়ার বাবলা নামে এক কর্মী।
ওই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অন্যদিকে এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগে গুলি ও প্রাণহানির ঘটনায় কড়া বিবৃতি দিয়ে সরকার। জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তারই মাঝে ঘটল আরেক গুলির ঘটনা।