জামায়াত আমির বলেন, “অতীতের কলুষিত ছাত্ররাজনীতিতে আমরা দেখতাম, ছাত্রসংসদে যারা নির্বাচিত হতো, তারা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজে জড়াতো, অসৎ উপায়ে রুজি করতো। বর্তমান ছাত্রসংসদগুলোতে সততার পরীক্ষায় শতভাগ উত্তীর্ণ দেখতে চাই। এক ভাগ ফেলও এই জাতি দেখতে চায় না।”
ডা. শফিকুর রহমান ছাত্রসংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব দলের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের কাছে জাতির অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। দায়িত্ব শুধু ক্যাম্পাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আপনাদেরকে জাতির স্বপ্নসারথি হিসেবে এই স্বপ্ন ধারণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবীদের প্রতি জাতির পাওনা আছে। আশা করি, সেই প্রতিদান দেবেন।”
তিনি আরও বলেন, “তরুণরা আগামীর বাংলাদেশ কীভাবে গড়বে, তার রিহার্সেল হচ্ছে ছাত্রসংসদের মাধ্যমে। সেই তারুণ্যনির্ভর বাংলাদেশ দেখতে চাই। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে সেন্টার অব একাডেমিক এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রথম প্রায়োরিটি হবে ছাত্রসংসদ। গবেষণা কার্যক্রম পুনরুদ্ধার ও শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।”
ছাত্রসংসদ নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “একজন নাগরিক হিসেবে ভবিষ্যতের বৃহৎ নেতৃত্বের জন্য নিজেকে তৈরি করতে হবে। তোমাদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দিতে চাই। দেশের ককপিটে তোমাদের বসাতে চাই। আমরা পেছন থেকে দোয়া ও শক্তি যোগ করব। ভুল করলে কানে কানে সংশোধন করব, না হলে সম্মানের সঙ্গে আসন থেকে সরিয়ে দেব। আমি বিশ্বাস করি, তোমরা পারবে। তোমাদের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।”