চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেছেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় বিএনপি অতন্ত্র প্রহরী। স্বাধীনতা পরবর্তী শাসকগোষ্ঠীর হাতে যতবার গণতন্ত্র অবরুদ্ধ হয়েছে, বিএনপিই গণতন্ত্র কে মুক্ত করেছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের ১৬ বছরের শাসনামলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপির নেতাকর্মীরা রক্ত দিয়েছে, খুন ও গুম হয়েছে, শত মামলার আসামী হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গৃহছাড়া হয়েছেন। মিথ্যা মামলায় কারাভোগ করেছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখনো নির্বাসিত। শত নির্যাতন-নিপীড়ন স্বত্তেও গণতন্ত্রের প্রশ্নে বিএনপির নেতাকর্মীরা কখনোও আপস করেনি। গণতন্ত্রের জন্য বিএনপির এই আত্মত্যাগ ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে। বিএনপির ধানের শীষ গণতন্ত্রের প্রতীক। তাই দেশ ও জাতির স্বার্থ অক্ষুণ্ন রাখতে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে হবে। আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ের মাধ্যমে বিএনপির নেতৃত্বে আবারো গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠিত হবে।
শনিবার (০৯ নভেম্বর) ১৭নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের বৌ বাজার এলাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রদত্ত রাষ্ট্র মেরামতে ৩১দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ও ধানের শীষের সমর্থনে আয়োজিত “মতবিনিময় সভায়” প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি যতবার ক্ষমতায় এসেছে দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে অগ্রগণ্য ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির শক্ত ভীত বিএনপির হাত ধরেই রচিত হয়েছে। আগামীতেও বিএনপি ক্ষমতায় এলে রাষ্ট্র মেরামতে ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে একটি জবাবদিহিমূলক, গণতান্ত্রিক ও অংশগ্রহণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে। বাংলাদেশের মালিকানা দেশের জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিবে। রাষ্ট্রব্যবস্থা পরিচালিত হবে ন্যায্যতা ও সাম্যের ভিত্তিতে এবং সব মানুষের অংশগ্রহণের ভেতর দিয়ে। বেকারত্ব দূরীকরণে এক কোটি শিক্ষিত বেকারের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবে। এলাকার অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় দৃশ্যমান উন্নয়ন করা হবে। তাই আমাদের সর্বপর্যায়ের নেতাকর্মীর দায়িত্ব হলো তারেক রহমান প্রদত্ত ৩১দফার বার্তা জনগণের দ্বারে দ্বারে পৌঁছিয়ে দেয়া। জনগণের পাশে থেকে তাদের আস্থা ও সমর্থন অর্জন করা।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আমিন মাহমুদ এর সভাপতিত্বে উক্ত পথসভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। চট্টগ্রাম মহাগর বিএনপির সাবেক গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম বাবুল এর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক য্গ্মু সম্পাদক আনোয়ার হোসেন লিপু, ১৯নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর ইয়াছিন চৌধুরী আছু, মহানগর বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা হাজী নবাব খান, বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া, এম. এ হামিদ, ইসমাঈল বাবুল, মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, মো. আলমগীর, সাইফূল ইসলাম নীরব, নাসির উদ্দিন চৌং নাসিম, খোরশেদুল আলম, জাফর হোসেন, ১৭নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম ডিউক, ফোরকান হোসেন চৌ, এস এম পারভেজ, জাফর ইকবাল, রাশেল সিকদার, রোজিয়া সুলতানা মুন্নী, ১৭নং ওয়ার্ড মহিলা দল সভানেত্রী শামিমা নাসরিন, সাধারণ সম্পাদক শারমিন, কানিজ ফাতেমা মিতা প্রমুখ।