
ফেব্রুয়ারিতে রমজানের আগে নির্বাচন না হলে দেশ মহাবিপর্যয়ের কবলে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।
নির্বাচনের পথে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অপচেষ্টার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষে জন জোয়ার দেখে তারা নন ইস্যুকে ইস্যু বানিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে দেশকে আবার অন্ধকারের দিকে নিয়ে যেতে চায়। আওয়ামী ফ্যসিবাদকে ফিরিয়ে আনার চক্রান্ত হচ্ছে বলে জনমনে ধারণা জন্মেছে। এতে সুযোগ নিয়ে পলাতক ফ্যাসিবাদ আবার ফিরে আসবে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনা ও গণতন্ত্র ও গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ধ্বংস করার যে কোনো চক্রান্ত রুখে দিতে হবে।
তিনি মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর শহীদ মিনার চত্বরে চট্টগ্রাম ৯ সংসদীয় আসনের ভোটারদের ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রদানে উৎসাহিত করে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে জনমত গঠনের লক্ষ্যে আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডে গনসংযোগ পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন।
তিনি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নগরীর শহীদ মিনার চত্বর থেকে শুরু করে সিনেমা প্যালেস, লাল দিঘীর মোড় হয়ে আন্দরকিল্লাহ শাহী জামে মসাজদ গেইট এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরন ও গণসংযোগ করেন।
তিনি বলেন, বিএনপি সংস্কার চায় বলেই সরকারের সংস্কার উদ্যোগকে সহযোগিতা করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জুলাই জাতীয় সনদের যে সব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে তার আইনানুগ বাস্তবায়নের জন্য এবং যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আন্তরিক ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেই এই গণআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। বিএনপি এই গণআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ।অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বানচাল করাই একাত্তর ও চব্বিশের গণহত্যাকারীদের একমাত্র লক্ষ্য।
তিনি জনগণের প্রতি নির্বাচনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যে কোনো মূল্যে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হতে হবে। এ সময় তিনি ডক্টর মুহম্মদ ইউনূসের প্রতি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহবান জানান।
গণসংযোগ চলাকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবাক হারুন জামান, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আবদুল মান্নান, মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য খোরশেদ আলম, আন্দরকিল্লাহ ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক আলাউদ্দিন আলি নূর, সাবেক সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আবুল বসর, সদস্য সচিব ওসমান গনি, যুগ্ম আহবায়ক কলিম উল্লাহ, জসিম খাঁন, মো. আজগর, আবদুল মান্নান, প্রশান্ত কুমার পান্ডে, জসিম উদ্দিন, গোলাম নবী, আবুল কালাম, সদস্য মো. হোসেন, শাহ আলম, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সাইফুদ্দিন যুবরাজ, মঈনুদ্দিন রাজিব, মো. আলাউদ্দিন, মো. বাহাদুর, ফসাল ভূইয়া, মো. মামুন, মো. রিয়াদ, মো. মোমিন, মো. শিপন, মহিউদ্দীন, মিথুন দাশ, মো. জিয়া, আবদুস শুক্কুর, শাহ নেওয়াজ তুশান, মো. সোহেল, তিলক দাশ প্রমুখ।







