ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নগর জুড়ে বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের নির্দেশক্রমে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচলাইশ আবাসিক ও আশপাশের এলাকায় পরিচালিত হয় মশক নিধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান।
অভিযানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এ কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য হলো শীতের মৌসুমে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব রোধে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে আগাম সতর্কতা ও মশার বংশবিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা। নগরের ২৫টি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় একযোগে মশক নিধন, লার্ভা ধ্বংস ও বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন বলেন, নগরবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে ধারাবাহিকভাবে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করছি। পাশাপাশি নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে। নিজেদের বাড়ির আশপাশে কোথাও যেন পানি জমে না থাকে। নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ তিনদিনে একদিন জমা পানি ফেলে দিন”
ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মোঃ শরফুল ইসলাম মাহি জানান, মশা নিধন কার্যক্রমের পাশাপাশি আমরা জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য স্থানীয়দের অংশগ্রহণে প্রচারণা চালাচ্ছি। অনেকেই এখন নিজেরাই আশপাশ পরিষ্কার রাখার উদ্যোগ নিচ্ছেন, যা উৎসাহব্যঞ্জক।
অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন চসিকের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা, ডা. সরওয়ার আলম, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী (মারুফ), আর কে লিটনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাধারণ এলাকাবাসী।
চসিক কর্মকর্তারা জানান, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও আইন প্রয়োগ কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে। নগরের বিভিন্ন এলাকায় যেখানে লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে, সেসব স্থানে জরিমানা ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সিটি কর্পোরেশনের এ উদ্যোগে এলাকার পরিবেশ অনেকটা পরিষ্কার হয়েছে এবং মশার উপদ্রবও কমতে শুরু করেছে। তারা নিয়মিতভাবে এমন কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।