
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী এফসিএ বলেছেন, নভেম্বর বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। এই নভেম্বরে সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা জিয়াউর রহমান মুক্ত হওয়ার পর দেশে গণতান্ত্রিক ধারা প্রবর্তন করেছিলেন। তিনি মেধাবীদেরকে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত করেছিলেন। দেশে বিদেশে থাকা মেধাবীদের নিয়ে দেশ গঠনে একযোগে কাজ করেছিলেন। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীনে ভূমিকা রেখেই দমে যাননি, স্বনির্ভর বাংলাদেশ গঠনে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করেছেন।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি (বাকশিস) চট্টগ্রাম জেলার সম্মেল এবং বিশ্ব শিক্ষক দিবসে তারেক রহমান-এর বক্তব্যের তাৎপর্য বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তক্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
আসলাম চৌধুরী বলেন, আসলাম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে একত্রিত করেছিলেন এবং আমি মেজর জিয়া বলছি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি প্রত্যয় ব্যক্ত করে থেমে থাকেননি। রনাঙ্গনে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। পরবর্তীতে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তণ এবং মেবাধী ও স্বনির্ভর স্বদেশ গঠনে পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। দেশের সকল দূর্বিপাকে জিয়া পরিবার সবসময় ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। ১৯৯০তে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং ২৪ এর জুলাই অভ্যুত্থানেও জিয়া পরিবারের অবদান অনস্বীকার্য।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে রাষ্ট্র পরিচালনায় আমাদের সুযোগ আসলে শিক্ষকদের দাবি আদায়ে আর রাস্তায় দাড়াতে হবে না। তাদের দুঃখ দুর্দশা, চাহিদা, সম্মানি, বৈষম্যদূরীকরণসহ সকল সমস্যার সমাধান হবে ইনশাল্লাহ। আমাদের সুযোগ আসলে ভবিষ্যতে আধুনিক ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনে শিক্ষকদের সম্পৃক্ততা থাকবে সবসময়। শুধু মুখে নয়, শিক্ষকরা যে, জাতি গঠনের মূল কারিগর সেটা তাদের কাজের সুযোগ করে দিয়ে প্রমাণ করা হবে ইনশাল্লাহ। দলীয়করণ নয়, স্বাধীন শিক্ষকতা নিশ্চিত করা গেলে দেশ ঘুরে দাড়াবে ইনশাল্লাহ।
বাকশিস চট্টগ্রাম জেলা আহবায়ক উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুরুল আলম রাজুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ও অধ্যাপক রওশন আক্তার এবং আ্যাপক মাসুদ রানার যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এএসএম আমানুল্লাহ, বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক ড.মোঃ খলিলুর রহমান।
শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের অতিরিক্ত মহাসচিব জাকের হোসেনের স্বাগত বক্তব্যে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সাবেক আহবায়ক আবু সুফিয়ান। এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবু জাফর সিদ্দিকী, যুগ্ম-আহবায়ক উপাধ্যক্ষ মাহফুজুল হক চৌধুরী, বাকশিস কক্সবাজার জেলা সভাপতি হোসাইনুল ইসলাম মাতবর, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, উত্তর জেলা স্কুল শিক্ষক সমিতির সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, শিক্ষাবোর্ড কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা জসিম উদ্দিন, ইসলামিয়া কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, অধ্যক্ষ আবু হেনা মোস্তাফা কামাল, বাকশিস মহানগর নেতা অধ্যাপক ওসমান গনি প্রমূখ।







