শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তা প্রয়োজন

শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তা প্রয়োজন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে শান্ত, উৎসবের রঙে ভরপুর এবং সকলের অংশগ্রহণমূলক করতে সেনাবাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মনে।

বুধবার দুপুরে মিরপুর সেনানিবাসের ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) অডিটোরিয়ামে কোর্স-২০২৫–এর গ্র্যাজুয়েশন সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২৪টি দেশের তরুণ সামরিক কর্মকর্তাদের হাতে সনদ তুলে দেন তিনি।

ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনকে সামনে এনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশবাসীর দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত এ নির্বাচনকে সত্যিকার অর্থে একটি শান্তিপূর্ণ উৎসব এবং আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত করতে আমাদের সেনাবাহিনীর সহায়তা একান্তভাবে কামনা করছি।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনী সে সময় সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং এ কারণে আমি তাদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করি।

এবারের কোর্সে বাংলাদেশ, চীন, ভারত, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ মোট ২৪ দেশের ৩১১ জন তরুণ সামরিক কর্মকর্তা অংশ নেন। কর্মকর্তারো জানান, কোর্সে অর্জিত জ্ঞান ও নেতৃত্বদানের অভিজ্ঞতা তাঁদের ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে যে কোনো জাতীয় সংকটে প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখতে সহায়তা করবে।

একজন বাংলাদেশি অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তা বলেন, ডিএসসিএসসি-তে এ কোর্সে আমরা যে নেতৃত্ব, কৌশল এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেছি, তা আমাদের দেশের এবং এর বাইরে যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত করবে। বিশেষ করে যে কোনো জাতীয় সংকটে আমরা আমাদের অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগ করতে প্রস্তুত।

অন্য এক কর্মকর্তা জানান, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা যে কথাগুলো বলেছেন, তা অত্যন্ত সময়োপযোগী। আমরা আশা করি, আমরা যারা এ কোর্স সম্পন্ন করেছি, তারা দেশ রক্ষায় এবং প্রয়োজনে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত থাকব।

চীন থেকে আসা এক কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ সুবিধা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের এ সামরিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে চলেছে। ২৩টি দেশের সহকর্মীদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ পাওয়ায় আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং বোঝাপড়া আরও শক্তিশালী হয়েছে। আমরা আশা করি, এ জ্ঞান ভবিষ্যতে আমাদের নিজ নিজ দেশকে নিরাপত্তা দিতে কাজে লাগবে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on email