
বাকলিয়া থানা ছাত্রদল নেতা মো. সাজ্জাদকে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে এবং প্রকৃত খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে বৃহত্তর বাকলিয়ার সর্বস্তরের জনসাধারণের উদ্যোগে এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর বাকলিয়া এক্সেস রোডের লন্ডন বেকারীর সামনে আয়োজিত এই মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান।
মানববন্ধনে বক্তারা সাজ্জাদ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং প্রশাসন ও কিছু অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ করেন।
মানববন্ধনে বৃহত্তর বাকলিয়ার বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ ও বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা সাজ্জাদ হত্যার প্রতিবাদে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও স্লোগান দেন। পরে বিশাল মিছিল বের করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবু সুফিয়ান বলেন, আগে যারা যুবলীগ ছাত্রলীগ করতো, তারা নতুন রূপে হাজির হয়েছে। বাকলিয়া এক্সেস রোডে তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। চাঁদাবাজি, দখলবাজিসহ সব ধরনের অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত তারা। তাদের বিষয়ে প্রতিদিন শত শত অভিযোগ পাচ্ছি আমরা।
তিনি অভিযোগ করেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন সহ আমরা সবাই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি বার বার। কিন্তু প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে উল্টো তাদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে। তাদের অপরাধ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় আমাদের কর্মী সাজ্জাদকে হত্যা করা হয়েছে। সাজ্জাদ হত্যাকারীদের রক্ষা করতেই প্রশাসনের কতিপয় সদস্যদের সহায়তায় ঘটনা ভিন্ন খাতে ঘুরানোর অপচেষ্টা চলছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
আবু সুফিয়ান আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরাই সাজ্জাদকে হত্যা করেছে। সাজ্জাদের পিতা বাদী হয়ে বাকলিয়া থানায় মামলা করেছে। এখন শুনতেছি, এই মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য আরেকটা মামলা করার চেষ্টা করছে। সাজ্জাদের পিতা আলম সাহেবও বলেছেন, তিনি মামলা করার পরে আর কারো মামলা করার এখতিয়ার নাই। আমরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, সাজ্জাদ হত্যার প্রকৃত ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত করে বের করুন। নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার সাজ্জাদের প্রকৃত খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতার করুন।
তিনি বলেন, পুলিশ ও প্রশাসনের এই ভূমিকা ন্যক্কারজনক। তারা একদিকে সন্ত্রাসীদের লালন করছে, অন্যদিকে একটি নিরীহ কর্মীর রক্তের উপর দাঁড়িয়ে থাকা ন্যায়বিচারের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, চসিক মেয়র সহ বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে ভিত্তিহীন ঘটনা সাজিয়ে প্রপাগাণ্ডা ছড়ানো এবং মামলা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার এই ষড়যন্ত্র জনগণ মেনে নেবে না। এই মানববন্ধন শুধু সাজ্জাদের খুনিদের গ্রেফতারের দাবি নয়, এটি বাকলিয়ার সর্বস্তরের মানুষের পক্ষ থেকে সন্ত্রাস ও অবিচারের বিরুদ্ধে একটি কঠিন বার্তা।সাজ্জাদের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না। তার খুনিরা যেই হোক, যত ক্ষমতাবানই হোক, তাদের আইনের আওতায় আনতেই হবে। প্রশাসন যদি ব্যর্থ হয়, তবে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

মানববন্ধনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন লিপু, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা। বক্তব্য রাখেন সন্ত্রাসীদের হাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার মোহাম্মদ সাজ্জাদের পিতা মোহাম্মদ আলম। উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী নাছিম, সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল উদ্দীন, সহ অর্থ সম্পাদক জিয়াউল হক মিন্টু, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন, সহ সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ইদ্রিস সবুজ, সহ গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, জসিম উদ্দিন, সহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শেখ কামাল আলম, মহানগর যুবদল নেতা সালাউদ্দিন বাসু, আমিন উল্লাহ আমিন, সাব্বির ইসলাম ফারুক,
চান্দগাও থানা যুবদলের সাবেক আহবায়ক গোলজার হোসেন, চকবাজার থানা যুবদলের সাবেক আহবায়ক মোহাম্মদ সেলিম, কোতোয়ালি থানা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব মোহাম্মদ হাসান, বাকলিয়া থানা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব মোহাম্মদ মুসা, কোতোয়ালি থানা যুবদলের সি. যুগ্ম আহবায়ক আবদুল জলিল, চকবাজার থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ সোহেল, বাকলিয়া থানা মহিলা দলের সভানেত্রী, রিজিয়া বেগম মুন্নী, সাধারণ সম্পাদিকা কামরুন্নেসা, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সালাউদ্দিন কাদের আসাদ, রোকনুদৌলা, মনসুর সওদাগর, জাবেদুল হক, চকবাজার থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক যুবদল নেতা সাদ্দামুল হক সাদ্দাম, সফিউল বসর সাজু, মো. ওসমান, মো. আলমগীর, মো. মামুন, রাসেল করিম, নুরুল কবির বাপ্পি, শহীদুল করিম শহীদ, মো. ফরিদ, শওকত খান দুলাল, মো. মিন্টু, সিরাজ খান রাজু, মো. ফোরকান, জসীম উদ্দীন, নুরুজ্জামান বাবলু, রহিম মিনু, মো. ফারুক, মো. সাইফুল্লাহ, মো. ইউনুস, মিজানুর রহমান, আব্দুল কাদের, আবুল হোসেন, আবদুর রশিদ, আব্বাস উদ্দিন, সাব্বির আহম্মদ, ফয়সাল সাকিব মিম, মো. সোহেল, ওমর শরীফ, মো. মহসিন, মোরশেদ আলম, নুরুন্নবী, মো. শফিক,মো. সুমন, মো. জাভেদ, মো. হামিদ, মো. ফোরকান, রিয়াজ শিকদার, সালাউদ্দিন বাপ্পি, আক্তার হোসেন, নিজাম উদ্দিন, জহির উদ্দীন, এয়ার মোহাম্মদ প্রমুখ।







