
ভারতের নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। মঙ্গলবার উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী পুলিশের দেওয়া নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে হাইকমিশন অভিমুখে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাস নামে এক পোশাকশ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) এবং বজরং দলের নেতৃত্বে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
বিক্ষোভকারীরা হাইকমিশনের দিকে এগোতে চাইলে পুলিশ তিন স্তরের ব্যারিকেড দিয়ে পথরোধ করার চেষ্টা করে। তবে উত্তেজিত জনতা অন্তত দুই স্তরের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলতে সক্ষম হয় এবং দূতাবাসের ফটকের কাছাকাছি পৌঁছে স্লোগান দিতে থাকে। অনেকের হাতে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো হাইকমিশন ভবন ঘিরে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং ড্রোন দিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
নয়াদিল্লিতে এই উত্তেজনার মধ্যেই ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম তাঁর সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে ভারতে বাংলাদেশি মিশনগুলোর নিরাপত্তা এবং সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তীব্র উদ্বেগ জানানো হয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের প্রেক্ষাপটে এই বিক্ষোভ ও হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টার ঘটনা দুই দেশের সম্পর্কে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি করেছে।







