
দেশের জন্য একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে সর্বস্ব দিয়ে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। মঙ্গলবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক আবেগঘন পোস্টে তিনি এই ইচ্ছার কথা জানান। পরবর্তীতে বিএনপির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকেও তার এই পোস্টটি শেয়ার করা হয়।
পোস্টে নিজের দাদু ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে কাটানো স্মৃতিচারণ করে জাইমা রহমান বলেন, পরিবারকে আগলে রাখা একজন অভিভাবক হিসেবে তিনি কতটা মমতাময়ী ছিলেন, তা আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় স্মৃতি। আমার ১১ বছর বয়সে স্কুলের ফুটবল টুর্নামেন্টে জেতা মেডেল যখন দাদুকে দেখাতে গিয়েছিলাম, তিনি প্রচণ্ড মনোযোগ দিয়ে আমার কথা শুনেছিলেন এবং গর্ববোধ করেছিলেন। লাখো মানুষের কাছে তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হলেও আমাদের কাছে তিনি ছিলেন শুধুই প্রিয় ‘দাদু’।
সতেরো বছর দেশের বাইরে কাটানো প্রসঙ্গে জাইমা বলেন, বিদেশের মাটিতে থাকলেও আমি আমার শিকড়, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ কখনো ভুলে যাইনি। লন্ডনের প্রবাস জীবন আমাকে বাস্তববাদী করেছে এবং একটি বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েছে। তবে আমার হৃদয় সব সময় বাংলাদেশেই ছিল। আইন পেশার অভিজ্ঞতা থেকে তিনি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ও ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করার শিক্ষা পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।
জাইমা রহমান বলেন, আমি আমার দাদাকে (শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান) দেখিনি, তবে তাঁর সততা ও দেশপ্রেমের গল্প শুনে বড় হয়েছি। দাদু ও আব্বু সেই আদর্শই বয়ে চলছেন। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সময় এবং ৫ আগস্টের ক্রান্তিকালে আমি নেপথ্যে থেকে সাধ্যমতো ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেছি।
দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফেরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে ফেরা মানে আবেগ আর অনুভূতির এক অনন্য সংমিশ্রণ। আমি দেশে ফিরে দাদুর পাশে থাকতে চাই এবং আব্বুকে (তারেক রহমান) সর্বাত্মক সহায়তা করতে চাই। নিজের চোখে প্রিয় বাংলাদেশকে নতুন করে জানতে চাই এবং মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চাই।
পরিবারকে ঘিরে জনগণের প্রত্যাশা ও কৌতূহলের বিষয়টি স্বীকার করে জাইমা রহমান বলেন, জনগণের সেই প্রত্যাশা পূরণের দায়ভার আমরা অনুভব করি। আমাদের প্রত্যেকের জীবনে একটি নিজস্ব গল্প আছে। সেই গল্পগুলোকে ধারণ করেই আমরা সবাই হয়তো সামনের পথটা একসাথে হাঁটতে পারি।







