
নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি সরকারের এই অবস্থানের কথা জানান।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক পরবর্তী এই ব্রিফিংয়ে জনৈক সাংবাদিক পাঁচ মার্কিন আইনপ্রণেতার চিঠির প্রসঙ্গ তুলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন করেন।
জবাবে প্রেস সচিব বলেন, “আওয়ামী লীগের বিষয়ে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। দলটির যাবতীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম বর্তমানে নিষিদ্ধ এবং নির্বাচন কমিশনও আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে বাদ দিয়েছে। ফলে এই নির্বাচনে তাদের অংশ নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে চলতি বছরের মে মাসে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর সকল অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দলটির বিচারকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জানানো হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল আলম আরও জানান, মার্কিন আইনপ্রণেতাদের চিঠির বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তবে দেশের প্রচলিত আইন ও বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অংশগ্রহণের পথ পুরোপুরি রুদ্ধ।







