বিশ্বজুড়ে কর্মরত মার্কিন জেনারেল-অ্যাডমিরালদের হঠাৎ তলব

বিশ্বজুড়ে কর্মরত মার্কিন জেনারেল-অ্যাডমিরালদের হঠাৎ তলব

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দায়িত্বরত মার্কিন সামরিক বাহিনীর শত শত জেনারেল ও অ্যাডমিরালকে হঠাৎ করেই যুক্তরাষ্ট্রে তলব করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভার্জিনিয়ায় এক জরুরি বৈঠকে তাদের অংশগ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। এ বৈঠকের বিষয়বস্তু বা উদ্দেশ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি, যা ঘিরে দেশজুড়ে রহস্য এবং জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।

ট্রাম্প আগ্রহী নন ভারত-পাকিস্তানের কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে : মার্কিন কর্মকর্তাট্রাম্প আগ্রহী নন ভারত-পাকিস্তানের কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে : মার্কিন কর্মকর্তা
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর থেকে বিশ্বজুড়ে মোতায়েন থাকা শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের এ আহ্বান জানানো হয়েছে। গণমাধ্যম বলছে, এত বড় পরিসরে সামরিক নেতৃত্বের একত্রিত হওয়া অত্যন্ত বিরল ঘটনা।

বিষয়টি প্রথম জানায় মার্কিন গণমাধ্যম। পরে পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেল সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে কেন এতটা জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকটি আয়োজন করা হয়েছে, সে বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

আল জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মার্কিন সেনাবাহিনীতে প্রায় ৮০০ জন জেনারেল ও অ্যাডমিরাল রয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকে বিদেশি ঘাঁটিতে অত্যন্ত সংবেদনশীল দায়িত্বে রয়েছেন। হঠাৎ এভাবে তাদের তলব করায় অনেকেই নিজেদের সময়সূচি পরিবর্তন করতে হিমশিম খাচ্ছেন, এমনটাই জানান এক সামরিক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে।

ট্রিপল নাশকতার অভিযোগ ট্রাম্পের, নিশ্চুপ জাতিসংঘট্রিপল নাশকতার অভিযোগ ট্রাম্পের, নিশ্চুপ জাতিসংঘ
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের এক অনুষ্ঠানে এ বৈঠক সম্পর্কে ইতিবাচক মন্তব্য করে বলেন, ‘আমি এটা ভালোবাসি। আমার কাছে দারুণ মনে হচ্ছে। জেনারেল আর অ্যাডমিরালদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা ভালো।’

জাতীয় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের এভাবে আকস্মিকভাবে তলব নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও ট্রাম্প বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাননি। তিনি বলেন, এটা এত বড় ব্যাপার কেন? আমি তো শান্তির প্রেসিডেন্ট।’

এ সময় ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও সাংবাদিকদের সমালোচনাকে ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বলে উড়িয়ে দেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রতিরক্ষা বিভাগে ব্যাপক রদবদল শুরু করেছেন।যৌথবাহিনী প্রধান জেনারেল সিকিউ ব্রাউনসহ অনেক শীর্ষ কর্মকর্তা বরখাস্ত হয়েছেন। চার-তারকা জেনারেলের সংখ্যা ২০% কমানোর নির্দেশ এসেছে মে মাসে। সামগ্রিকভাবে জেনারেল ও ফ্ল্যাগ অফিসারের সংখ্যা ১০% হ্রাসের ঘোষণা দেন ট্রাম্প।

বৈচিত্র্য সংক্রান্ত কর্মসূচি বাতিলের আহ্বান জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথ। হেগসেথের মতে, এখন সেনাবাহিনীর মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত প্রাণঘাতী সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং যোদ্ধা মনোভাব পুনরুদ্ধার।

চলতি মাসের শুরুতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি নির্দেশে প্রতিরক্ষা দপ্তরকে আবারও ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার নামে উল্লেখ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৪৯ সালের আগে এই নামেই পরিচিত ছিল সংস্থাটি। তবে স্থায়ীভাবে নাম পরিবর্তনের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on email