সাইফুজ্জামান চৌধুরীর চট্টগ্রামের ৬ ফ্ল্যাট, মার্কেট ও ভবন ক্রোকের আদেশ

সাইফুজ্জামান চৌধুরীর চট্টগ্রামের ৬ ফ্ল্যাট, মার্কেট ও ভবন ক্রোকের আদেশ

চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ৭ কোটি ৪২ লাখ সাড়ে ৬২ হাজার টাকার ছয়টি ফ্ল্যাট ক্রোক করার আদেশ দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে সাইফুজ্জামান চৌধুরী, তার স্ত্রী রুকমীলা জামান, ভাই-বোনের নামে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের একটি মার্কেট, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার একটি ভবনও ক্রোক করতে বলা হয়েছে।

তাদের মালিকানাধীন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের স্থাবর সম্পদও ক্রোক করার আদেশ দিয়েছে আদালত।দুদকের আবেদনে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ রোববার এই আদেশ দেন বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানিয়েছেন।

যেসব সম্পদ জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হল-কালুরঘাট শিল্প এলাকার আরামিট পিএলসি এবং এর অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি, আরামিট সিমেন্ট লিমিটেডের অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি, আরামিট থাই অ্যালুমিনিয়াম এবং এর অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি, আরামিট ফুটওয়্যার লিমিটেডের অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি, আরামিট পাওয়ার লিমিটেডের অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি, আরামিট স্টিল পাইপস লিমিটেড এবং এর অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি, আরামিট অ্যালুকম্পোজিট প্যানেলশ লিমিটেডের অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি।

দুদকের পক্ষে এসব সম্পদ ক্রোকের আবেদন করেন সংস্থার উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান।আবেদনে বলা হয়,সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ৯ সদস্যের একটি যৌথ অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।

“অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রে জানা যায়, সাইফুজ্জামান চৌধুরী, স্ত্রী রুকমীলা জামান, ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের স্থাবর সম্পদমূহ অন্যত্র স্থানান্তর/হস্তান্তর করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। এসব স্থাবর সম্পদমূহ অন্যত্র হস্তান্তর/স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের সমূহ ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। সে কারণে, এসব স্থাবর সম্পদমূহ অবিলম্বে জব্দ করা আবশ্যক।”

চট্টগ্রামের প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ছেলে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ চট্টগ্রাম-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি প্রথম মেয়াদে ভূমি প্রতিমন্ত্রী এবং পরের মেয়াদে একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

২০২৪ সালের অগাস্টে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর জাবেদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক। ইতিমধ্যে জাবেদ ও তার স্ত্রীর নামে যুক্তরাজ্যে ৩৪৩টি, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২২৮টি এবং যুক্তরাষ্ট্রে ৯টি সম্পত্তিসহ অন্যান্য দেশে স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত।

এছাড়া গত ৫ মার্চ তাদের নামে থাকা ৩৯টি ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দেয় আদালত। এসব হিসাবে ৫ কোটি ২৬ লাখ টাকার বেশি জমা আছে। ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর আদালত জাবেদ ও রুকমিলার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে তারা দুজনেই বিদেশে আছেন বলে খবর এসেছে সংবাদমাধ্যমে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on email