
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে নানান অভিযোগের মধ্যে ভোটগ্রহণ শেষ হয় বিকেল চারটায়। উৎসব মুখর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-চাকসু নির্বাচন। সকাল থেকে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষনীয় ছিল। দীর্ঘদিন পর মুক্ত পরিবেশে ভোট দিতে পেরে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা।প্রায় ৩৫ বছর পর হওয়া নির্বাচনে মোট ভোটার সাড়ে ২৭ হাজার, প্রার্থী ৯০৭ জন। নির্বাচনে সাড়ে ৪ ঘণ্টায় মোট ভোটের প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে, যা প্রায় ১১ হাজার।
এবারের নির্বাচনে দিনভর ভোটারদের মাঝে উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা ছিল। তবে অভিযোগ ছিল আঙ্গুলের কালি লাগার সাথে সাথে উঠে গেছে,আচরণ বিধি মানেনি শিবিরের কর্মীরা,একশত গজের মধ্যে কোন প্রচার না করার কথা থাকলেও বাধা দেওয়া হয়নি। প্রকৌশল অনুষদ কেন্দ্রে স্বাক্ষর ছাড়াই ভোট গ্রহণের অভিযোগ ছিল। অভিযোগ শুধু ছাত্রদলের নয় স্বতন্ত্র জিএস প্রার্থী চৌধুরী তাসনীম জাহান শ্রাবণ এরও। ভোটগ্রহণে অব্যবস্থাপনা নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ করে ছাত্রদলসহ কয়েকটি প্যানেলও। ভোটগ্রহণ শেষে এখন ফলাফলের অপেক্ষায় বিভিন্ন কেন্দ্রের সামনে প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকেরা অবস্থান নিয়েছেন।তবে ফলাফল প্রকাশ করা হবে বৃহস্পতিবার।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. মনির উদ্দিন বলেন, ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশে বিকেল চারটায় শেষ হয়েছে। এখন কেন্দ্র থেকে ব্যালটগুলো পৃথক করে ডিন কার্যালয়ে নেওয়া হবে। এরপর সেখানে ক্যামেরার সামনে ভোট গণনা করা হবে।
চাকসুতে এবার কেন্দ্রীয় সংসদ, হল সংসদে ৪০ পদের বিপরীতে ভোট যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন ৯০৮ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে চাকসুতে রয়েছে ২৬ পদ।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে এবং কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যেন না ঘটে, সে ব্যাপারে সতর্ক অবস্থান নেওয়া হয়েছে। ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে শিক্ষক, কর্মচারী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিএনসিসি, প্রক্টরিয়াল টিম দায়িত্ব পালন করছে।
নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বমোট ১ হাজার ২০০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে গোপন ভোটকক্ষ ছাড়া বাকি সব জায়গায় রয়েছে সিসি ক্যামেরা। পাশাপাশি প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের সামনে এলইডি স্ক্রিন রয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা সরাসরি পরিস্থিতি দেখতে পারছেন।
সাড়ে ৪ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশ
চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে সাড়ে ৪ ঘণ্টায় মোট ভোটের প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে, যা প্রায় ১১ হাজার। নির্বাচন কমিশনার জি এইচ হাবীব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।সকাল ৯টায় ভোট শুরুর কথা ছিল। তবে শুরু হয়েছে সকাল সাড়ে ৯টায়।নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটার ও পদসংখ্যা বিবেচনায় একজন শিক্ষার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ ১০ মিনিট সময় দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪০টি পদে ভোট দিতে হবে প্রত্যেক ভোটারকে। অর্থাৎ গড়ে প্রতি ১৫ সেকেন্ডে একটি করে ভোট প্রদানের হিসাব করা হয়েছে।
প্রকৌশল অনুষদ কেন্দ্রে স্বাক্ষর ছাড়াই ভোট গ্রহণের অভিযোগ
নির্বাচনে প্রকৌশল অনুষদের ২১৪ নম্বর কক্ষে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার স্বাক্ষর ছাড়াই ভোট গ্রহণের অভিযোগ ছিল। এ অভিযোগ করেছেন ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কয়েকজন পোলিং এজেন্ট।অভিযোগ করে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট মোহাম্মদ শামিম উদ্দীন বলেন, অন্তত ২০জন ভোটার প্রিজাইডিং কর্মকর্তার স্বাক্ষর ছাড়া ব্যালট বাক্সে ভোট দিয়েছেন। এ ঘটনায় আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়।
আইটি অনুষদের ভোট কেন্দ্রে ১২টি সইবিহীন ব্যালট পাওয়ার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে, এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি ভুলবশত হয়েছে। ১২টি ব্যালট আলাদা করে কেন্দ্রের দায়িত্বে যাঁরা থাকবেন, তাঁরা সই করবেন।
ব্রেইল পদ্ধতির ব্যালট না ছাপানোয় হতাশ শারীরিক প্রতিবন্ধীরা
ব্রেইল পদ্ধতির ব্যালট না ছাপানোয় হতাশা প্রকাশ করেছেন শারীরিক প্রতিবন্ধী ভোটাররা।একারণে তারা ভোট দিলেও সেই ভোট যথাযথ প্রার্থীর ব্যালটে পড়ছে কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তারা।
প্রতিবন্ধী মিজান মিয়া ছাত্রদলের সদস্য প্রার্থী সে অভিযোগ করেছেন, তাদের ৭০ জন ভোটার রয়েছেন। তাদের জন্য কেন্দ্র করা হয়েছে চাকসু ভবনের দ্বিতীয় তলায়। নির্বাচন কর্মকর্তাদের সহায়তায় তারা ভোট দিচ্ছেন। কিন্তু যে প্রার্থীকে তারা ভোট দিতে বলেছেন সেই প্রার্থীর ব্যালটে ভোট দিচ্ছেন কিনা সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তা, সেটা তারা কেমন করে নিশ্চিত হবেন। তাছাড়া বক্সে ডাবল ব্যালট ঢুকিয়ে দেওয়ার শঙ্কাও রয়েছে। ব্রেইল পদ্ধতির ব্যালট হলে তারা নিজ নিজ কেন্দ্রে নিজেরাই ভোট দিয়ে নিজেরাই ব্যালট বক্সে ঢুকাতে পারতেন। এতে কোনো সন্দেহ-সংশয় থাকত না। তারা বলেন, নির্বাচন কমিশন ২৭ হাজার ব্যালট ছাপাতে পারল, তাদের জন্য ৭০ টি ব্যালট ছাপাতে পারলনা। এটা তাদের জন্য খুবই কষ্টের।
সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ ছাত্রদলের
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে ছাত্রদল। ভোট প্রদান করার পর সাংবাদিকদের এ শঙ্কার কথা জানান।ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় অভিযোগ করে বলেন, ভোট দেওয়ার পর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে কালি মুছে যাচ্ছে। আমি নিজেও ভোট দিলাম, অথচ কালি মুছে গেছে। এতে করে একজনের একাধিকবার ভোট দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আমরা বারবার নির্বাচন কমিশনকে বলেছিলাম যে, চাকসু নির্বাচন যেন অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করা যায়, কিন্তু নির্বাচন কমিশনার এক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা তাদের কাছে নানা অভিযোগ দিয়েছেন জানিয়ে এই ভিপি প্রার্থী বলেন, আইটি ভবনের ২১৪ নম্বর রুমে স্বাক্ষর ছাড়া ২০টি ব্যালট পেপার রয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানাব— এটার যেন কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আমরা বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পাচ্ছি, দ্রুত গতিতে ব্যবস্থা নিন, না হলে ইতিহাসের কাছে দায়ী হয়ে থাকবেন। নির্বাচন কমিশনার ডাকসু-জাকসু থেকে শিক্ষা নেয়নি। তারা এখানে আরও খারাপভাবে নির্বাচন করছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন বর্জন করার জন্য আসিনি। আমরা শিক্ষার্থীদের হয়ে কাজ করার জন্য এসেছি। আমরা মনে করি, চাকসুর মাধ্যমে বিজয়ী হতে পারলে শিক্ষার্থীদের পাশে আরও বেশি করে থাকা যাবে। জয়-পরাজয় যেটাই হোক আমরা শিক্ষার্থীদের হয়ে কাজ করে যাব।
ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী শাফায়েত হোসেন বলেন, চেকিং করার সময় দায়িত্বপ্রাপ্তরা ছবি দেখে ব্যালট দিচ্ছে না। আমরা চেয়েছি, নির্বাচন কমিশন ইতিহাসের অংশ হবে। কিন্তু তা নিয়ে আমরা শঙ্কা প্রকাশ করছি।
‘বিনির্মাণ শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদপ্রার্থীর পোলিং এজেন্ট নূর মোহাম্মদ বলেন, ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রিজাইডিং অফিসারের স্বাক্ষর থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ভোটের শুরুতে প্রায় ১৫–২০টি ব্যালটে কোনো স্বাক্ষর ছিল না। এই ব্যালটগুলো বৈধ কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।
ভোটগ্রহণে ধীরগতির অভিযোগ রাফির
চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থীকে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। পর্যাপ্ত ভোটকেন্দ্র ও কক্ষ না থাকায় এমন বিড়ম্বনা পোহাতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাগছাসের যুগ্ম সম্পাদক খান তালাত মাহমুদ রাফি। দুপুরে আইটি ভবন ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়ে এসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ভোটকেন্দ্র ও কক্ষ বাড়ানো হয়নি। এটা এক ধরনের পরিকল্পিত দীর্ঘসূত্রতা, যা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের এসব বিষয়ে আরও সতর্ক থাকা উচিত ছিল। আমাদের মনে হচ্ছে, এভাবে ভোট হলে এটি একটি প্রহসনে পরিণত হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশন অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, ‘অভিযোগটি আমাদের কাছে এসেছে। তবে আমরা বাংলাদেশে এরচেয়ে ভালো কালি পাইনি। এরচেয়ে ভালো কালি দিতে হলে বিদেশ থেকে আনতে হবে। কিন্তু কালি মুছে গেলেও একজন ভোটারের দ্বিতীয়বার ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ সবাইকে তিন ধাপে চেক করা হচ্ছে, প্রথমে ভোটারের সিরিয়াল নাম্বার চেক করা হচ্ছে, এরপর আইডি নাম্বার, এরপর ভোটারের নাম ও ছবি মিলিয়ে দেখে স্বাক্ষর নেওয়া হচ্ছে। তাই কারো পক্ষে দ্বিতীয়বার ভোট দেওয়া সম্ভব নয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, ‘একই সাথে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা এবং আইডি কার্ড থাকায় ভোট গ্রহণের কোনো নিরাপত্তা শঙ্কা হবে না৷ যে ১২টি সাক্ষর ছাড়া ব্যালট গেছে সেটা আমরা শুনেছি, সে বিষয়ে কথা বলেছি। এগুলো অসাবধানতার কারণে প্রথমবার নির্বাচনের কারণে হয়েছে। সেগুলো ব্যালট বক্স খোলার পর আমরা আলাদা করে রাখবো। ভোটের সংখ্যা গণনা করার সময় এইগুলোর হিসাব বসে সমাধান করা হবে।
জাতীয় নির্বাচনের রিহার্সাল হিসেবে বিবেচিত হবে চাকসু : চবি উপাচার্য
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটা অনুকূল পরিবেশ তৈরির এবং রিহার্সাল হিসেবে বিবেচিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার।বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে চাকসু নির্বাচন উপলক্ষ্যে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার বলেন, সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে সুশৃঙ্খলভাবে এই নির্বাচনের আয়োজন করেছি। এটা শিক্ষার্থীদের নির্বাচন। তারা চাইছে এই নির্বাচন। প্রচারণার সময় চমৎকারভাবে প্রচারণা হয়েছে। কাউকে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি। কোড অব কনডাক্ট মেনে তারা চমৎকার নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ বজায় রেখেছে। এটা জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটা অনুকূল পরিবেশ তৈরির এবং রিহার্সাল হিসেবে বিবেচিত হবে।
তিনি বলেন, আমাদের মাথায় ছিল, ছাত্রদের সুবিধা কীভাবে ভোট দিতে, তাদের সুবিধা কীভাবে হবে, কী প্রয়োজন। সেই জিনিসগুলো আমরা পূরণ করেছি। সেখানে পোলিং এজেন্টরা যাতে থাকতে পারে, তাদের পার্টিতে যারা দাঁড়াচ্ছে তাদের এজেন্ট যাতে থাকতে পারে, সেগুলো নির্বিঘ্নভাবে হয়েছে কি না সেটা আপনারাই দেখুন। বৃত্ত ভরাট করার ব্যবস্থা রেখেছি কারণ ক্রস দেওয়া থাকলে অনেক রকম অনেক সময় অসুবিধা হতে পারে।
ভোটের ফলাফল গণনা করতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে
ভোটের ফলাফল গণনা করতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে জনিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য ও আইটি সেলের প্রধান অধ্যাপক সাইদুর রহমান চৌধুরী।বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যেসব ব্যালটে ভোটাররা ভোট দিবেন সেগুলো মেশিনে প্রি-স্ক্যান করা হয়েছে। প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজারের মতো পাতা আমরা টেস্ট করেছি, এটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য যে- সবগুলো পাতা যেন মেশিন পড়তে পারে।
একটা ব্যাপার নিশ্চিত করতে পারছি, মেশিন পাতাগুলো পড়তে পারবে। অন্য কোনো বাইরের একটি পাতা যদি এ মেশিনে ঢুকেও পরে, তাহলে তা মেশিন রিজেক্ট করবে। কারণ তা মেশিনে দেওয়া আমাদের সিকিউরিটি কোডের বাহিরে। আমরা আশা করছি, ভোট গ্রহণ যখন শেষ হবে তখন ওএমআরগুলোর ডাটা রিড করতে পারবে। আমরা ওএমআরগুলো মেশিনে স্ক্যান করার পর দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে পরীক্ষা করে দেখবো। এতে বুঝতে পারবো, আমাদের মেশিন ঠিকমতো কাজ করছে।
ভোটের ফলাফল ঘোষণা করতে কত সময় লাগতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের যদি ৮০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয় তাহলে স্ক্যানিং করতে আনুমানিক ৭ ঘণ্টার ওপরে সময় লাগবে। তাহলে সাড়ে ৪টায় ভোট ক্লোজ হলে, বক্সগুলো জায়গায় আসতে সময় লাগবে। ব্যালটগুলো ২০০ করে গুনে রেডি করতে সাড়ে ৬টার আগে সম্ভব হবে না। এরপর থেকে ৭ ঘণ্টা যদি হয়, তাহলে বলতে গেলে প্রায় পরের দিন সকাল-যদি স্ক্যানিংয়ে কোনো ঘটনা না ঘটে। যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে সেটার জন্য আরও সময় লাগবে। আমরা চেষ্টা করছি, ওই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতার আলোকে যাতে কোনো সমস্যা না হয়।