
স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের দ্বারা বাংলাদেশের গনতন্ত্র বারবার ভুলুণ্ঠিত হচ্ছে। ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর গুলিতে ডাঃ শামসুল আলম খান মিলন নিহত হওয়ার পর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন গন অভ্যুত্থানে রূপ নিলে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি স্বৈরাচার এরশাদ ছাত্র- জনতা ও পেশাজীবীদের ঐক্যবদ্ধ রাজপথের গন আন্দোলনে বাধ্য হয়ে ক্ষমতা ত্যাগের ঘোষণা দেন। তারপর ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে জনগনের ভোটে বিএনপির বিজয় লাভের পর আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহনের পর বাংলাদেশে গনতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হয়। গত ১৭ টি বছর ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকার মানুষের সেই ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে গনতন্ত্রের কবর রচনা করে। ২০২৪ সালে জুলাই গন আন্দোলনের মুখে সেই ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগে বাধ্য হয়। ফলে বাংলাদেশে আবার গনতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়।স্বৈরাচার বিরোধী গন অভ্যুত্থানে নিহত তৎকালীন বিএমএ এর যুগ্ম মহাসচিব শহীদ ডাঃ শামসুল আলম খান মিলন এর ৩৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ ডাঃ শামসুল আলম খান মিলন স্মৃতি সংসদ এর উদ্যোগে আজ সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের নিউ কনফারেন্স হলে শহীদ ডাঃ শামসুল আলম খান মিলন এর শাহাদাত বার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ডাঃ তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক এর সভাপতিত্বে এবং ডাঃ সাইফুদ্দিন সোহাগ ও ডাঃ মেহেদী হাসান ইমাম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির ভাষণে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন একথা বলেন। প্রধান বক্তা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডাঃ মোঃ তসলিম উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন ডাঃ মিলনের আত্মত্যাগের মাধ্যমে যে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে সেই স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ আবার যেন কায়েম হতে না পারে সেদিকে সবার নজর রাখতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড্যাব চমেক শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ জসিম উদ্দিন বলেন, স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদ ডাঃ মিলনের আত্মত্যাগ জাতি চিরকাল স্মরন রাখবে। সভা চলাকালীন অনলাইনে বিশেষ বক্তব্য রাখেন শহীদ ডাঃ মিলন এর মা মিসেস সেলিনা আক্তার। তিনি তার বক্তব্যে শহীদ ডাঃ মিলনকে স্মরন করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং রাষ্ট্রীয় ভাবে ডাঃ মিলন সহ তৎকালীন আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন তাদেরকে যথাযোগ্য মর্যাদা প্রদান সহ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে বিশ্বমানে উন্নত করার আহ্বান জানান। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন চমেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ আব্দুর রব, অধ্যাপক ডাঃ আব্বাস উদ্দিন, ডাঃ আব্দুল মোত্তালিব। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শাহাদাত বার্ষিকী উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও চমেক কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ ইব্রাহিম চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ড্যাব চমেক শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ ফয়েজুর রহমান, ড্যাবের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ বেলায়েত হোসেন ঢালী, ড্যাবের যুগ্ম মহাসচিব ডাঃ সরোয়ার আলম, প্রফেসর ডাঃ এ এস এম জাহেদ, ডাঃ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, ডাঃ এস এম কামরুল হক, ডাঃ শামীম আল মামুন, ডাঃ রিফাত কামাল রনি, ডাঃ তানভীর হাবীব তান্না, ডাঃ সাদ্দাম হোসেন, ডাঃ ইয়াসির আরফাত প্রমূখ।
আলোচনা সভার শুরুতে শহীদ ডাঃ শামসুল আলম খান মিলন সহ দেশের স্বাধীনতা ও গনতন্ত্র পুনঃ উদ্ধারে আত্মত্যাগকারী সকল শহীদ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।







