নির্বাচনে দায়িত্ব পাবেন না বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

নির্বাচনে দায়িত্ব পাবেন না বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বেসরকারি ব্যাংকের কর্মীদের ভোটগ্রহণের দায়িত্ব না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার অনুষ্ঠিত দশম কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এ তথ্য জানান। সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন অন্য চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এর আগে গত ২৩ নভেম্বর বিএনপি লিখিতভাবে দাবি জানায় যে, ইসলামী ব্যাংকসহ সমমনা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের ভোটগ্রহণ-সংক্রান্ত দায়িত্ব থেকে বাদ দিতে হবে। তারা সিইসির কাছে ৩৬ দফার প্রস্তাব জমা দেয়, যেখানে বলা হয় ভোটের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে রাজনৈতিকভাবে চিহ্নিত বা দলীয় প্রভাব আছে বলে সাধারণভাবে বিবেচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীদের প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার বা পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া উচিত নয়। উদাহরণ হিসেবে তারা ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, ইবনে সিনা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করে।

বিএনপির এই প্রস্তাবের কয়েক দিনের মধ্যেই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উদ্বেগ প্রকাশ করে। দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বিএনপির দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভিত্তিহীন। তার মতে, এসব প্রতিষ্ঠান বহুদিন ধরে জনগণের সেবা দিয়ে আসছে এবং কর্মকর্তারা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেন, তাদের নিয়ে সন্দেহের কোনো জায়গা নেই।

এ সময়ে আরও আলোচনায় আসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল একটি ভিডিও, যেখানে ইসলামী ব্যাংকের এক পরিচালক ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদকে নির্বাচনে দলীয় কৌশল নিয়ে নির্দেশনা দিতে দেখা যায়। ভিডিওটি ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি করে।

পরিস্থিতি বিবেচনায় নির্বাচন কমিশন শেষ পর্যন্ত সব বেসরকারি ব্যাংকের কর্মীদের জাতীয় নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on email