
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নবনিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছয় দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রামকে ক্লিন–গ্রীন–হেলদি–সেফ সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে চসিকের প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জনসেবার প্রতি আরও মনোযোগী ও দায়বদ্ধ হতে হবে।
রোববার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে বিভিন্ন পদে নিয়োগপ্রাপ্ত ৭০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে মেয়র নবনিযুক্তদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং দাপ্তরিক কার্যক্রমের বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
মেয়র নবনিযুক্তদের কাছে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা সম্পূর্ণ স্বচ্ছভাবে, দ্রুততম সময়ে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করায় মেয়র ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর আমি উপলব্ধি করি, চট্টগ্রামকে একটি আধুনিক, পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ নগরী হিসেবে গড়ে তোলার ভিশন বাস্তবায়নে মেধাবী, দক্ষ ও সৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রয়োজন। সে লক্ষ্যেই পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন গ্রহণ করে শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। নিয়োগে কোনো ধরনের অবৈধ লেনদেন, স্বজনপ্রীতি, তদ্বির, রাজনৈতিক, ধর্মীয় বা আঞ্চলিক পরিচয়ের কারণে বৈষম্য করা হয়নি। ফলে সুদূর কুড়িগ্রাম, ময়মনসিংহ, পটুয়াখালী, পাবনা থেকেও প্রার্থীরা চাকরির সুযোগ পেয়েছেন। আপনারা স্বচ্ছভাবে চাকরি পেয়েছেন—এখন দায়িত্বও সততার সঙ্গে পালন করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, যথাসময়ে অফিসে উপস্থিত হতে হবে। সরকারি চাকরির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সময়ানুবর্তিতা। সময়মতো অফিসে না এলে জনসেবা ব্যাহত হয়, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।
তিনি আরও বলেন, আপনাদের মাঠপর্যায়ে এলাকায় এলাকায় নিয়মিত পরিদর্শন করতে হবে। জনগণের সমস্যা, পরিষেবা ঘাটতি, অবকাঠামোগত ত্রুটি—এসব বিষয় যাচাই করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। এলাকার প্রতিটি উন্নয়নকাজ সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করা আপনাদের দায়িত্ব।”
তিনি আবারও বলেন, জনগণের সঙ্গে আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করতে হবে। যারা কর প্রদান করেন, সেবার জন্য চসিকে আসেন—তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা আপনাদের নৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব মো. আশরাফুল আমিনসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ।







