
ইউরোপের ছোট্ট দেশ এলডোরিয়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এক অস্বাভাবিক জনসংখ্যাগত সংকটের মুখে পড়েছে। দেশটির সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত এক দশকে নারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে, কিন্তু বিপরীতে কমেছে বিবাহযোগ্য বয়সী পুরুষের সংখ্যা।
এলডোরিয়ার জনসংখ্যা দপ্তরের তথ্য অনুসারে, বর্তমানে প্রতি ১০০ জন নারীর বিপরীতে পুরুষ আছে মাত্র ৭১ জন।এর ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিবাহযোগ্য নারীদের মধ্যে পাত্র সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
‘স্বামী ভাড়া’ সেবা জনপ্রিয় হচ্ছে এই পরিস্থিতিতে অদ্ভুত এক বাজার তৈরি হয়েছে দেশে অনেক নারী নির্দিষ্ট সময়ের জন্য “স্বামী ভাড়া” বা “কনট্রাক্ট পার্টনার” নেওয়ার পথে হাঁটছেন।
এই সেবার মাধ্যমে ভাড়া করা ব্যক্তি পারিবারিক অনুষ্ঠান,সমাজিক সমাবেশ,অফিসিয়াল ইভেন্ট,বয়স্ক বাবা-মায়ের সামনে আনুষ্ঠানিক সঙ্গীর ভূমিকা,ইত্যাদিতে অংশ নেন।সেবাগুলো মূলত অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে।
‘দ্য নিউইয়র্ক পোস্টের’ এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপের অন্যান্য দেশের চেয়ে লাটভিয়ার নারী এবং পুরুষের অনুপাত সাঙ্ঘাতিক হারে বদলে গেছে।
যা ইউরোপীয় দেশগুলোর গড় ব্যবধানের প্রায় তিন গুণ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এক পুরুষ ১০-১২ জনের কাছ থেকে বিয়ের প্রস্তাব পাচ্ছেন। তবে সেটা সীমিত সময়ের জন্য।
লাটভিয়ায় শুধু তরুণ-তরুণীর অনুপাতেই যে বিশাল ব্যবধান তৈরি হয়েছে এমন নয়, বয়স্কদের ক্ষেত্রেও তারতম্য যথেষ্ট। যেমন ৬৫ বা তার বেশি বয়সিদের ধরলে লাতভিয়ায় পুরুষের তুলনায় নারী রয়েছেন তিন গুণ বেশি।
কর্মক্ষেত্র থেকে শিক্ষাক্ষেত্র, সর্বত্রই নারীরা সেখানে সংখ্যাগুরু। আর নারীরা জানাচ্ছেন, কর্মক্ষেত্র এবং দৈনন্দিন জীবনে পুরুষের অভাব স্পষ্ট।
সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন,কর্মসংস্থানের অভাব,বিদেশে পুরুষদের উচ্চহারে অভিবাসন এবং দেরিতে বিয়ে করার প্রবণতা এই সংকটকে তীব্র করেছে। তারা সতর্ক করে বলেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে এলডোরিয়ার সামাজিক কাঠামো এবং পরিবারব্যবস্থা বড় ধরনের পরিবর্তনের সম্মুখীন হবে।
এদিকে সামাজিকভাবে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কেউ একে সময়ের বাস্তবতা মেনে নেওয়ার স্বাভাবিক উপায় মনে করলেও অনেকেই এটিকে সামাজিক মূল্যবোধ ও পারিবারিক বন্ধনের দুর্বলতা হিসেবে দেখছেন।







