
১৭ বছরের প্রবাস জীবন কাটিয়ে আগামী ২৫ ডিসেম্বর অবশেষে দেশে ফিরতে চলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান। এই দিনটিকে ‘অবিস্মরণীয়’ করে রাখতে চায় তাঁর দল, যার জন্য রাজধানী ঢাকায় স্মরণকালের বৃহত্তম জনসমাগম ঘটানোর পরিকল্পনা করছে বিএনপি।
রোববার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া একটি পোস্টে এ কথা জানানো হয়। পোস্টে তারেক রহমানের একটি ছবিও যুক্ত করা হয়েছে। পোস্টে দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “১৭ বছর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার দিনটিকে ‘অবিস্মরণীয়’ করে রাখতে চায় বিএনপি।”
এ লক্ষ্যে সাংগঠনিক প্রস্তুতি, নিরাপত্তাব্যবস্থাসহ সার্বিক কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করার কাজ চলছে বলে পোস্টে জানানো হয়েছে। আরও লেখা হয়েছে, “আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যেই এ-সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে। কেন্দ্রীয় বিএনপির সমন্বয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে।”
২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কারাগারে তারেক রহমানের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়। ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর তিনি সবগুলো মামলা থেকে জামিন পান। এরপর ১১ সেপ্টেম্বর রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে সপরিবারে বসবাস করছেন সেন্ট্রাল লন্ডনের এডমন্টনে।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়। সবার একটাই প্রশ্ন ছিল, কবে তিনি দেশে ফিরবেন। অবশেষে গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে জানান, আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়ারউর রহমান-পুত্র তারেক রহমান। এছাড়া বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ এবং মিডিয়া সেল থেকেও এ খবর জানানো হয়।
সেই থেকে ২৫ ডিসেম্বরের অপেক্ষায় রয়েছে বিএনপি। দলের ভেতর বাড়তি উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলছেন, গণতন্ত্র উত্তরণের পথে যেসব বাধা সৃষ্টি হয়েছিল, তারেক রহমান দেশে এলে সেসব দূর হয়ে যাবে।







