
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, স্বাধীনতার শত্রুরা যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে একাত্তর সালে অবস্থান নিয়েছিল, আজকে তারা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়। বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষ, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ তাদের সব ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দিয়ে অবশ্যই বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে অটুট রাখবে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে, ইনশাল্লাহ।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পণ শেষে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তার স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, সেই যুদ্ধ আমরা ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেছিলাম। এ জন্য এ দিনটি আমাদের কাছে বিএনপির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান—তিনি আজকে নির্বাসিত অবস্থায় বিদেশে অবস্থান করছেন। আমরা আশা করছি, আগামী ২৫ ডিসেম্বর তিনি দেশে আসবেন। তার দেশে আসা যেন গণতন্ত্রের সংগ্রাম-লড়াইকে আরও বেগবান করে সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে বিএনপি মহাসচিব দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং পরে প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
এ সময় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহ উদ্দিন আহমদ,চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা মহানগর বিএনপির আমিনুল হক, তানভীর আহমেদ রবিনসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা ছিলেন।
পরে মুক্তিযোদ্ধা দল, যুব দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, কৃষক দল, মৎস্যজীবী দল, তাঁতী দল, ড্যাব ও ছাত্র দলসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে জিয়ার কবরে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে দলের কয়েক হাজার নেতাকর্মী সাভারে জাতীয় স্মৃতি সৌধে পুস্পমাল্য অপর্ণ করে বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।







