
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে চেয়ারম্যান প্রফেসর ইলিয়াস উদ্দিন আহমেদ যোগদান করার পর থেকে দূর্ণীতি স্বর্গরাজ্যে পরিনত করে শিক্ষা বোর্ড। তার অপকর্মের কারনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ৮ ডিসেম্বর নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ করার পর তার সব অপকর্ম ডাকতে শুরু করে তকদির। সে নিজেকে এখন বিএনপি জামায়াতের লোক দাবী করলেও আওয়ামীলীগের আমলে বোর্ডের চেয়ারম্যান হতে উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক এর কাজ থেকে নেন ডিও লেটার।দুর্নীতি করেছে এগুলো বোর্ড কমিটির অনুমোদন করে নেওয়ার জন্য আজ বুধবার ৬৬ তম সাধারণ সভা আহবান করে।
সভা করতেছেন আলোচ্য সূচির ৬ নম্বরে এজেন্ডাভুক্ত করা হয়েছে। যা ইতোমধ্যে অর্থ কমিটিতে অনুমোদন করায়ে নিয়েছে।এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আজ ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বোর্ড কমিটিতে চূড়ান্তভাবে অনুমোদনের জন্য বোর্ড কমিটির সভা আহবান করা হয়েছে। তিনি নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়ে নিয়ম ভঙ্গ করে সাধারণ সভা করার খবরে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ।
সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াস উদ্দিন আহমেদ ছিলেনআওয়ামী সরকারের একজন দোসর।২০২১-২০২২ সালের বিভিন্ন সময়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। তখন সে আওয়ামী লীগ নেতাদের থেকে ৪টি ডিও লেটার নিয়েছে চেয়ারম্যান হতে।
প্রফেসর ইলিয়াস উদ্দিন আহমদ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু আদর্শের প্রতি আস্থাবাজন ব্যক্তি হওয়ায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী,চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান,চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান,২৪ নং উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম কাজ থেকে ডিও লেটার নেন।আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় প্রফেসর ইলিয়াস উদ্দিন আহমেদ থেকেও অনেক ক্ষমতাধর প্রফেসর থাকার কারণে তিনি চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে চেয়ারম্যান হতে পারেনি ।
তিনি ২০১২ সাল থেকে ১৫ সাল পর্যন্ত প্রথমে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদে এবং পরবর্তী উপ-সচিব পদে কর্মরত ছিলেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে । চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে কর্মরত থাকা অবস্থায় তার অতিমাত্রায় বাড়াবাড়ি টেন্ডার বাজিতে লিপ্ত হওয়ার কারণে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড থেকে বদলি করা হয়। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড থেকে বদলি হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই এই ইলিয়াস উদ্দিন আহমেদ কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে বিদ্যালয় পরিদর্শক হিসেবে নিয়োগ পায়।তখন দুর্নীতিতে ধরা পড়ে প্রায় ৪ বৎসর চাকুরিরত অবস্থায় ওয়েসডি করে। পরে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড থেকে অন্যত্র একটি কলেজে বদলি করা হয়। ওই কলেজ থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুনরায় চট্টগ্রামের পটিয়া সরকারি কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল পদে বদলি হয়ে আসেন।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে চাকুরী করার সুবাদে চট্টগ্রাম মৎস্যজীবী লীগের সদস্য ওসমান গনীর সাথে তার গোপন সক্ষতা গড়ে উঠেছিল। ইলিয়াস উদ্দিন আহমেদ পটিয়া সরকারি কলেজে কর্মরত থাকা অবস্থায় ওসমান গনি এবং ইলিয়াসের যেহেতু আওয়ামী লীগ আদর্শের লোক পুরো আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ধরে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত চেয়ারম্যান হতে পেরেনি কিন্তু আশা ছেড়ে দেননি পরবর্তীতে ৫ আগস্ট ২০২৪ পরবর্তীতে বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মৎস্যজীবী লীগের সদস্য, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সহকারী সচিব ওসমান গণির সহযোগিতায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে বদলি হয়ে আসেন। যেহেতু ইলিয়াস উদ্দিন আহমেদ ওসমান গনির অর্থের বিনিময়ে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন এরই কৃতজ্ঞতা স্বরুপ ওসমান গনিকে অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন ।
আওয়ামী লীগের দোসর প্রফেসর ইলিয়াস উদ্দিন আহাম্মদকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে যোগদান করার পর থেকে ২ মাসের মধ্যেই সেই ওসমান গণিকে অবৈধ পন্থায় (হাইকোর্টের রীট জালিয়াতির কারনে) ২০১৫ সালে প্রদত্ত বিভাগীয় শাস্তি একক ক্ষমতাবলে মওকুফ করে দিয়ে বোর্ড তহবিল থেকে ১৫ লাখ টাকাসহ বকেয়া প্রদান করেন ।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মৎস্যজীবী লীগের সদস্য ওসমান গনি চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কর্মরত অবস্থায় ৩ বার সাময়িক দরখাস্ত হন ।
ভূয়া অভিজ্ঞতা সনদ দেখিয়ে ২০০০ সালে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে সেকশন অফিসার পদে অবৈধ পন্থায় চাকরি লাভ করেন। মোঃ ওসমান গণি চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে যখন চাকরি নেন তখন শর্ত ছিল কোন প্রতিষ্ঠানে ৪ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকিত হইবে । কিন্তু কক্সবাজার পৌরসভার তৎকালীন মেয়র আফসার উদ্দিন ছিল তার দু:সম্পর্কের আত্মীয়, সেই সুবাদে কক্সবাজার পৌরসভা থেকে একটি ভুয়া অভিজ্ঞতা সনদ জমা দিয়ে সেকশন অফিসার পদে চাকুরী লাভ করে । পরবর্তীতে অভিযোগ আসলে তদন্তে তার অভিজ্ঞতা সনদটি ভুয়া প্রমাণিত হয়।
এক পরীক্ষকের খাতা মূল্যায়নের চেক ভাঙ্গাইয়া অর্থ আত্মসাৎ করে পরবর্তীতে বোর্ড কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটিতে এর সত্যতা মিললে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আওয়ামী লীগের এমপি ওয়াসিকা কায়সারের সুপারিশ বিশেষ বিবেচনায় মানবিক কারণে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
২০১৫ সালে এইচএসসি পরীক্ষার পূর্বে অনুষ্ঠিত টেস্ট পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ কতিপয় শিক্ষার্থীদেরকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে দেয়ার লক্ষ্যে মহামান্য হাইকোর্টে ২ টি রীট মামলা নাম্বার ১৭৬১/২০১৫ এবং ২৮৫৮/২০১৫ দায়ের করেন। উক্ত রীট মামলা দুটি সম্পর্কে অভিযোগ আসলে তা বোর্ড কর্তৃপক্ষ যাচাই এর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। যাচাই এর পর হাইকোর্ট থেকে সঠিক নয় মর্মে প্রমাণিত হওয়ায় তদন্ত টিম গঠন করা হয় এবং তদন্তে মোঃ ওসমান গনি প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ততা ছিলেন (এই কাজে তার সাথে সেকশন অফিসার জনাব মো: জাহাঙ্গীর ও অফিস সহায়ক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন এই দুইজন তার সহযোগী হিসেবে ছিল )। তার সরাসরি সম্পৃক্ততা থাকার কারণে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ ওসমান গনিসহ অন্য দু’জনকেও সাময়িক বরখাস্ত করে।
সহকারী সচিব পদে পদায়ন করে বোর্ডে বর্তমানে যতগুলো কেনাকাটা হচ্ছে এতে কোটেশনের মাধ্যমে চেয়ারম্যান এবং ওসমান গনি দুজনে মিলে কেনাকাটার মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য করে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয় তাই বিদ্যালয় শাখার সম্মতি ছাড়াই চেয়ারম্যান একক ক্ষমতা বলে ওসমান গনিকে দিয়ে বেশিরভাগ স্কুল পরিদর্শন আদেশ দিয়ে অবৈধভাবে টাকা কামানোর সুযোগ করে দিচ্ছেন অথচ বিদ্যালয় শাখার কর্মকর্তাগণকে দিয়ে বিদ্যালয়ে গুলো পরিদর্শন করার কথা।
এক বৎসর আগে পদোন্নতি হওয়া এমন কয়েকজন চতুর্থ শ্রেণীর ৪ জন কর্মচারীকে তৃতীয় শ্রেণীর উচ্চতর পদে পরবর্তী ফিডার পদ পূর্ণ হওয়ার আগে সিনিয়রদেরকে ডিঙ্গাইয়ে টাকা পয়সার বিনিময়ে পদোন্নতি দেওয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন । ফাইল নোটের মাধ্যমে যা অভ্যন্তরীণ পদোন্নতি কমিটির মাধ্যমে হওয়ার কথা। সৎ, ভালো মানুষ হওয়ায় বোর্ডের সচিব, উপসচিব, সচিব এবং সহকারী সচিব তারা তিন জন চেয়ারম্যানের এই অবৈধ প্রস্তাবে সারা না দেওয়ায় তাদের উপরেও চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হন।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর কোন পদে কয়জন কর্মচারী নিয়োগ করা হবে তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জিও প্রদান করা হয় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে নিকট। পরবর্তীতে এ জিও মোতাবেক ১৯৯৭ সালে একটি প্রবিধানমালা প্রণয়ন করা হয়। এই প্রবিধান মালায় পদের নাম ও সংখ্যা এবং পদোন্নতির জন্য কত শতাংশ পদোন্নতি দেয়া যাবে এবং ফিডার পদ কত বছর হবে তা উল্লেখ রয়েছে। এই প্রবিধানমালাকে তোয়াক্কা না করে টাকা পয়সার বিনিময়ে চেয়ারম্যান ইচ্ছামত পথ সৃজন করে পদোন্নতি দেওয়ার প্রস্তাব করলে অভ্যন্তরীণ পদোন্নতি কমিটি তা প্রত্যাখ্যান করেন। এত করে চেয়ারম্যান অভ্যন্তরী পদোন্নতি কমিটির উপর ক্ষিপ্ত, বর্তমানে দ্বন্ধ চরমে পৌঁছে গিয়েছে। দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান প্রফেসর ইলিয়াস উদ্দিন তিন স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী থেকে ওসমান গণির মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণ করেছেন ।
টেন্ডার বাণিজ্য
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান প্রফেসর ইলিয়াছ উদ্দিন ও তার সহযোগী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মৎস্যজীবী লীগের সদস্য চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সহকারী সচিব ওসমান গনি এরা দুজনের কার সাজিতে যমুনা টেলিভিশনে প্রচারিত সংবাদের ভিত্তিতে সত্যতা পাওয়া যায় । চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সপ্তম তলায় অবস্থিত কম্পিউটার সেন্টারের জন্য স্পট কোটেশনের মাধ্যমে দুটি কার্যাদেশ প্রদান করে যে সমস্ত মালামাল গুলো ক্রয় করা হয়েছে এই গুলোর। তুলনামুলক বিবরণীতে দেখা যায় ।
মেসার্স ইসলাম।ট্রেডিং, কুলগাঁও,পটিয়া,চট্টগ্রাম।মা এন্টারপ্রাইজ, নতুন ব্রীজ চট্টগ্রাম।মেসার্স চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ হক মার্কেট,বহদ্দারহাট,চট্টগ্রাম,
টাকার পরিমানঃ=৪,৯০,০০০/=কার্যাদার দেওয়া হয়।ব্লুপিক ইনোভেশন,নিউ ইস্কাটন,ঢাকা। কার্যাদেশ দেওয়া হয় মেসার্স ইসলাম ট্রেডিং কুলগাঁও,পটিয়া,চট্টগ্রাম।মেসার্স চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ হক মার্কেট,বহদ্দারহাট, চট্টগ্রাম।টাকার পরিমানঃ=৪,৯৯,৪২৫/=
মেসার্স চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ হক মার্কেট,বদ্দারহাট, চট্টগ্রাম।৪টি এসি ক্রয়, টাকার (টাকার পরিমানঃ=৪৭৬০০০।
উল্লেখ্য যে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের প্রেষনে নিয়োজিত১৪ জন কর্মকর্তা রয়েছে এই ১৪ জন কর্মকর্তার মধ্যে ১২ জন চেয়ারম্যান প্রফেসর ইলিয়াস উদ্দিন আমাদের ও কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মোহাম্মদ সরোয়ার আলমের বিরুদ্ধে এদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে তাদের সাথে মতের কোন মিল নেই যখন তখন প্রষনের কর্মকর্তাদেরকে বিভিন্ন অজুহাতে হুমকি দিয়ে থাকেন ।







