
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
১. আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে।
২. আহত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রণয়ন করা হবে।
৩. শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাসে মডেল থানা, রেলগেট এলাকায় নিরাপত্তা চৌকি এবং শাটল ট্রেনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৪. শিক্ষার্থীরা যেসব ভবন ও কটেজে বসবাস করে, সেসব ভবনের মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে ঘটনাসহ অন্যান্য অসন্তোষ নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৫. বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার আধুনিকায়নের লক্ষ্যে দুটি অ্যাম্বুলেন্স কেনা হবে এবং শয্যাসংখ্যা ৫০-এ উন্নীত করার জন্য ডিপিপির মাধ্যমে সরকারকে জানানো হবে।
৬. পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে ১০ তলা বিশিষ্ট পাঁচটি ছাত্র ও পাঁচটি ছাত্রী হল নির্মাণে ডিপিপি তৈরি করে সরকারের কাছে পাঠানো হবে।
৭. বিদ্যমান আবাসিক হলগুলো সংস্কার করা হবে।
৮. পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যৌথবাহিনী মোতায়েন থাকবে।
৯. সংঘর্ষের কারণ অনুসন্ধান, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও দোষীদের শনাক্ত করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য সরকারকে অনুরোধ করা হবে।
১০. একই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় নিজেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
১১. একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করা হবে।
১২. স্থানীয় নিরীহ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে তা পূরণের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানানো হবে।