
ফরিদপুরে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে ও পুরোনো সীমানা বহালের দাবিতে মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেছেন আন্দোলনকারীরা। আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এ ঘোষণা দেন তারা।
জানা যায়, জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে ও দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে মানুষের ভোগান্তি যাতে না হয় এজন্য আজ দুপুর ১২টার পর থেকে রাস্তা ছেড়ে দেয়ার জন্য অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেন তারা। সে অনুযায়ী আগামী বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত কোন অবরোধ থাকবে না বলে জানায় আন্দোলনকারী সমন্বয়ক কর্তৃপক্ষ।
তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি কাউকে হয়রানি করার চেষ্টা করে, সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা। এ সময়, আগামী রোববার তাদের ৫ দফা দাবি মেনে নেয়া না হলে, পুনরায় লাগাতার আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর গেজেটের মাধ্যমে ৩০০ আসনের সীমানা নির্ধারণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে কেটে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করা হয়েছে। এরপর থেকেই ভাঙ্গায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গত পরশুদিন থেকে তিন দিনের সকাল-সন্ধ্যা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন স্থানীয় জনতা। গতকাল দ্বিতীয় দিনে এই কর্মসূচি সংঘর্ষে রূপ নেয়।
এদিন, বেলা ১১টার দিকে ভাঙ্গায় ঢাকা-খুলনা ও ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের অন্তত ৬টি পয়েন্ট অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। এ সময়, মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বালিয়ে, দু’পাশেই চলাচল বন্ধ করে দেন তারা। এতে বন্ধ হয়ে যায় ভাঙ্গা হয়ে ঢাকার সাথে ২১ জেলার যান চলাচল। ভোগান্তিতে পড়েন এ রুটের যাত্রী ও চালকরা। আটকা পড়ে পণ্যবাহী যানবাহনও।
পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে, বিক্ষুব্ধরা ভাঙ্গা থানা, উপজেলা পরিষদ, নির্বাচন অফিসসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর চালান এবং আগুন দেন। স্থানীয়রা জানায়, সংঘর্ষে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্তত ১২শ সদস্য।