
হাটহাজারীতে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক (পিএসবি) শাখার মাঠকর্মী প্রায় ২৬ লাখ টাকা বিদেশে পালিয়ে গেছেন।সে মাঠকর্মী নাম আমেনা খাতুন।এ ঘটনার পেছনে শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক (সিনিয়র অফিসার) মুনিয়া সুলতানারও সহযোগিতা ছিল। গ্রাহকরা বলছেন, ব্যবস্থাপকের অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নিয়েই মাঠকর্মী আমেনা দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকদের টাকা জমা না করে আত্মসাৎ করতে পেরেছেন।
জানাগেছে, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মুনিয়া সুলতানা ওই শাখায় ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে ছিলেন। এ সময় মাঠকর্মী আমেনা খাতুন অর্ধশতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে সংগ্রহ করা প্রায় ২৬ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। পরে ২০২৩ সালের জুনে তিনি বিদেশে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় মুনিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি মাঠকর্মী আমেনাকে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে বিদেশে পালাতে সহায়তা করেছেন। যদিও ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে তাকে ফটিকছড়ি শাখায় বদলি করা হলেও শারীরিক অসুস্থতার অজুহাতে তিনি আগের কর্মস্থলেই থেকে যান। ওই বছরের ১ ফেব্রুয়ারি নতুন শাখা ব্যবস্থাপক ইমন হোসেন যোগদান করলেও এখনো একই শাখায় সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন মুনিয়া সুলতানা।
মুনিয়া সুলতানা দাবি করেন, আমেনা খাতুনের শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি কিছুটা ছাড় দিয়েছিলেন। কিন্তু এ ঘটনার জন্য তিনি পুরোপুরি দায়ী নন বলে জানান। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে সাংবাদিকদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
এ বিষয়ে গ্রাহক মিনু আক্তারের স্বামী সাইফুল ও আরেক ভুক্তভোগী শাহীন আক্তার অভিযোগ করেন, আমেনা খাতুন লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়েছেন, এর দায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুনিয়া সুলতানা কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চট্টগ্রাম বিভাগের কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম হাসান বলেন, আমেনা খাতুন পালিয়ে যাওয়ার পর আমি দায়িত্বে এসেছি। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শেষ হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ শিগগিরই আইনি ব্যবস্থা নেবে।
একই শাখায় দুইজন সিনিয়র অফিসার কীভাবে দায়িত্ব পালন করছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে মুনিয়া সুলতানাকে বদলি করা হয়েছিল। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি আগের শাখাতেই রয়েছেন। প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ এক শাখায় একই পদবির একাধিক কর্মকর্তা রাখতে পারে।