
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নতুন আমির নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষে আগামী ডিসেম্বরেই ফল ঘোষণা করা হবে।
এ নির্বাচনে ভোট দেবেন দলের প্রায় এক লাখ রুকন (সদস্য), যার মধ্যে মহিলা ভোটার আছেন প্রায় ৩৯ হাজার।
গতবার এই ভোটের মাধ্যমে ডা. শফিকুর রহমান আমির নির্বাচিত হন। এবারের ভোট গোপন ব্যালেটে অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এবারের নির্বাচনে নেতৃত্ব কাঠামোয় পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ বর্তমান আমির ডা. শফিকুর রহমান অসুস্থ। তবে ভোটের চূড়ান্ত ফল নির্ধারিত হওয়ায় আগে থেকে কিছু বলা যাচ্ছে না। সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্ত ব্যক্তিই নির্বাচিত হবেন। এই ক্ষেত্রে বর্তমান আমিরও পুনঃনির্বাচিত হতে পারেন, অথবা নতুন কোনো নাম সামনে আসতে পারে।
দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শফিকুর রহমান এখনও দলের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বিদায়ী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা তিন সদস্যের একটি প্রার্থী তালিকা তৈরি করে দেয়, যেখান থেকে রুকনরা আমির নির্বাচন করেন। তবে চাইলে তারা প্যানেলের বাইরে থেকেও কাউকে বেছে নিতে পারেন।
দলীয় সূত্র বলছে, সম্ভাব্য দুটি প্যানেল নিয়ে ভেতরে ভেতরে আলোচনা চলছে। একপাশে আছেন বর্তমান আমির ডা. শফিকুর রহমান, নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি এ টি এম আজহারুল ইসলাম। অন্য আলোচ্য তালিকায় আজহারের পরিবর্তে নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের আছেন।
ডা. শফিকুর রহমান প্রথমবার ২০১৯ সালে আমির হন এবং ২০২২ সালে পুনঃনির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। চলতি ডিসেম্বরে তার তিন বছরের মেয়াদ শেষ হবে। গঠনতন্ত্রে মেয়াদ নির্দিষ্ট থাকলেও একজন আমির কতবার নির্বাচিত হতে পারেন, সে বিষয়ে কোনো সীমা নেই।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানিয়েছেন, ২৫ ডিসেম্বরের আগেই ভোট অনুষ্ঠিত হবে। নতুন নেতৃত্বকে সামলাতে হবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে দলের বড় চ্যালেঞ্জ।