
চট্টগ্রাম-১০ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও নগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী বলেছেন, দেশের বাস্তব উন্নয়ন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত পিছিয়ে পড়া সাধারণ মানুষের কল্যাণ। শুধুমাত্র ভোটে জয়লাভ অর্জন নয়, তাই সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নেই জামায়াত মূল লক্ষ্য—এমন স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন তিনি।
৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় পশ্চিম খুলশীর শতাব্দী হাউজিং সোসাইটিতে অনুষ্ঠিত উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ৪২ নং ওয়ার্ড (প্রস্তাবিত) জোন প্রধান ইমরান সিকদার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পাঁচলাইশ থানা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল হাছান রুমী, ১৩ নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাহফুজুল আলম এবং ৮ নং শুলকবহ ওয়ার্ড জামায়াতের সেক্রেটারি শহীদুল্লাহ তালুকদার।
ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল হাছান রুমী, তার বক্তব্যে বলেন, দেশের দিনমজুর ও সীমিত আয়ের শ্রমিকদের আয় দিয়ে দুবেলা ভাত জোটে না; শিক্ষা, চিকিৎসা ও বিনোদন আজ সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এসব মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধার এবং জাতিকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যেতে হলে সকল আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই করা আবশ্যক। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আমরা স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ — কারও কাছে মাথা নত করে ক্ষমতা অর্জন করা হবে না এবং কেউ যদি মর্যাদাবিক্রয় করে ক্ষমতায় ওঠার চেষ্টা করে, তাকে গণতান্ত্রিক ব্যালটের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যান করবে দেশবাসী।
অনুষ্ঠানে পলিটেকনিক সাংগঠনিক ওয়ার্ডের সহকারী সেক্রেটারি মেজবাহ উদ্দীনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন মোহাম্মাদ নূর নবীর , মোহাম্মদ রফিক, মিজানুর রহমান, মেজবাহ উদ্দীন ও মোহাম্মদ আলী প্রমুখ। বিশেষ অতিথি মাহফুজুল আলম স্থানীয় উন্নয়ন কার্যক্রমে যোগদান এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্ব দেন।
অধ্যক্ষ হেলালী অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, সড়ক, পানি-প্রবাহ, স্যানিটেশন ও বিদ্যুৎ সরবরাহের মতো মৌলিক অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্র উদ্যোগ ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করাই স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়নের পথ। তিনি ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা আমাকে মনোনীত করলে আমি স্থানীয় সমস্যার বাস্তবসমাধানে কাজ করবো।’
স্থানীয় নেতারা যোগ করেন, স্বচ্ছ নেতৃত্ব ও সহযোগিতা ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়; তরুণদের শিক্ষায় সহায়তা এবং বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করাই তাদের প্রাথমিক পরিকল্পনার অংশ হবে। বৈঠক শেষে অংশগ্রহণকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে সমর্থন জানিয়ে ভোটের মাধ্যমে পরিবর্তনের আহ্বান জানান। সভায় উপস্থিতরা ঐক্যের পথে এগোবার ঘোষণা দেন সবাই।