সাংবাদিকের ওপর হামলা, ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ও সিএমইউজের

সাংবাদিকের ওপর হামলা, ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ও সিএমইউজের

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব ও আমার দেশ পত্রিকার আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি বলেছেন, জঙ্গল সলিমপুর নিয়ে বারবার গল্প লিখে দায় এড়ানোর চেষ্টা আর চলবে না। অবিলম্বে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশকে নিয়ে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে এলাকাটি সরকারি তফসিলভুক্ত জমি হিসেবে পুনর্গঠন করা জরুরি।

সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিএমইউজে) যৌথ উদ্যোগে সাংবাদিক হোসাইন জিয়াদ ও ক্যামেরাপারসন পারভেজের ওপর হামলার প্রতিবাদে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে বাসসের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মিয়া মোহাম্মদ আরিফের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য ও কালের কণ্ঠ পত্রিকার ব্যুরো প্রধান মুস্তফা নঈম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য শহীদুল ইসলাম, নগর নিউজের নির্বাহী সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, দিনকাল পত্রিকার ব্যুরো প্রধান হাসান মুকুল,আমার দেশ পত্রিকার ব্যুরো প্রধান সোহাগ কুমার বিশ্বাস, পূর্বদেশ পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ফারুক আব্দুল্লাহ, দীপ্ত টিভির ব্যুরো প্রধান লতিফা আনসারী লুনা, কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক ফারুক মুনির ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মনিরুল ইসলাম পারভেজ।

কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে জাহিদুল করিম কচি বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ছিনতাই হওয়া সরঞ্জাম উদ্ধার ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না করা হলে এর পরিণতি ভালো হবে না।

বক্তারা বলেন, বর্তমানে জঙ্গল সলিমপুর একটি চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। এলাকাটি চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ ও মেট্রোপলিটন পুলিশের সীমানার মধ্যবর্তী হওয়ায় দুই সংস্থা দায়িত্ব এড়িয়ে যায়। আমরা এই অজুহাত মানি না। জঙ্গল সলিমপুরের এই অবস্থা একদিনে তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় ও প্রশাসনের নীরবতায় এটি আজ সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি হয়ে উঠেছে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ অক্টোবর সকালে সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরের লোহারপুল এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে হামলার শিকার হন এখন টেলিভিশনের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান হোসাইন জিয়াদ ও ক্যামেরাপারসন মো. পারভেজ। পরে তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on email