বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে মিশরে গাজা শান্তিচুক্তি সই

বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে মিশরে গাজা শান্তিচুক্তি সই

ইসরাইল-হামাস শান্তি চুক্তিতে সই করে দিনটিকে মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ঐতিহাসিক দিন বলে ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সাথে ভূখণ্ডটির উন্নত ভবিষ্যত ও পুনর্গঠনের জন্য নিরস্ত্রীকরণের দিকে তাগিদ দেন তিনি।

এছাড়া পুলিশ বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনার কথাও জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। গাজা যুদ্ধের অবসানে সোমবার (১৩ অক্টোবর) মিশরে আয়োজিত শান্তি সম্মেলনে ট্রাম্প ছাড়াও অন্তত ৩৫ জন বিশ্ব নেতা অংশ নেন।

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির নথিতে সই করে আরও একটি ইতিহাস রচনা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ভূখণ্ডটির ভবিষ্যত নিয়ে তৈরি করলেন কিছুটা ধোঁয়াশা। হামাসের নিরস্ত্রীকরণের পর পুলিশ বাহিনী মোতায়েনের ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প। তিনি বললেন, যুক্তরাষ্ট্রের অধীনে গাজা হবে নিরাপদ ও সুরক্ষিত স্থান। কিন্তু ফিলিস্তিনিরা আগেই বলেছেন, ভূখণ্ডটির শাসক তারা নির্বাচন করবেন এবং তারাই ঠিক করবেন গাজার ভবিষ্যৎ।

ট্রাম্প বলেন, “এটি একটি স্মরণীয় দিন। সব রক্তপাত, ঘৃণার অবসান হলো। এখন গাজাকে নতুন করে সাজাতে হবে। পুনর্গঠনের জন্য এটিকে নিরস্ত্রীকরণ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র অংশীদার হয়ে কাজ করবে, আমি আগেও যেমনটি বলেছিলাম। এখন বেসামরিক পুলিশ বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে ভাবতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের হাত ধরেই মধ্যপ্রাচ্য একটি নিরাপদ এবং সুরক্ষিত স্থান হবে।”

সোমবার মিশরের পর্যটন শহর শার্ম আল–শেখে ‘শান্তি সম্মেলনে’ মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাথে উপস্থিত ছিলেন আরও অন্তত ৩৪টি দেশের বিশ্ব নেতা। ট্রাম্পের পাশাপাশি মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানিসহ অন্যান্য নেতারা চুক্তিটিতে স্বাক্ষর করেন। গাজার পুনর্গঠনে বিশ্বনেতারা সম্মিলিতভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।

এরমধ্যেই সোমবার ধাপে ধাপে মুক্তি পায় ইসরাইলি জিম্মিরা। বিনিময়ে নেতানিয়াহু প্রশাসনও মুক্তি দেয় প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনিকে। ফিলিস্তিনি বন্দিরা মুক্তির পর তাদের দুর্বিষহ সময়ের কথা স্মরণ করেন। ইসরাইলের কারাগার কসাইখানার সাথে তুলনা করেন। তবে মুক্ত ফিলিস্তিনিদের পেয়ে আনন্দে অশ্রুসিক্ত হতে দেখা যায় স্বজনদের।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on email