
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার স্পষ্ট করে বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে কারও কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। তিনি বলেন, এটা পরিষ্কার বার্তা যে, রোজার আগে ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে।
শনিবার সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ‘নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জসমূহ নিরূপণ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাচন কার্যালয় এই কর্মশালার আয়োজন করে।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধপরিকর। সারা পৃথিবীর মানুষ এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। এই নির্বাচনকে যেনোতেনো হতে দেওয়া যাবে না। তিনি জোর দিয়ে বলেন, নির্বাচন বাস্তবায়নে কমিশন কোনো বাঁকা পথে যাবে না। কারো পক্ষে বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কোনো কাজ করবে না। এটা আমাদের কমিটমেন্ট। এই সাহস কমিশনের আছে।
তিনি বলেন, কেউ এই নির্বাচনকে কলঙ্কিত বা কলুষিত করার চেষ্টা করলে তাকে রেহাই দেওয়া হবে না। তিনি যত বড় বাহাদুরই হোন না কেন, যত ক্ষমতাশালীই হোন না কেন, নির্বাচন কমিশন কোনো ধরনের আপস করবে না।
নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন আপনাদের সঙ্গে আছে। আপনারা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় সব ধরনের পরিবেশ পাবেন। নির্বাচন বাস্তবায়নকারী সব কর্মকর্তার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আমাদেরকে পরিষ্কার ও নিরপেক্ষ থাকতে হবে। আপনারা সাহসের সাথে নির্বাচন পরিচালনা করবেন। নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, আনসারসহ সব ধরনের মানুষ আপনার পাশে আছে।
এবারের নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের কনসেপ্ট হচ্ছে, প্রিজাইডিং অফিসাররাই হচ্ছেন চিফ ইলেকশন কমিশনার। আমরা তাদের বিষয়টি খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখছি। সুনামগঞ্জের ৫০৯টি দুর্গম কেন্দ্রের জন্য আলাদা বাজেটের কথাও জানান তিনি।
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলা উদ্দীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া, পুলিশ সুপার তোফায়েল আহম্মেদ ও নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. মোস্তফা হাসান। এ সময় জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।