
ধর্ম যার যার এই রাষ্ট্র সবার। ধর্ম যার যার নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার সবার। এই নীতির উপরেই ভিত্তি করে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠিত। আমরা ইতোপূর্বে দেখেছি আওয়ামী লীগ আমাদের সনাতনী সম্প্রদায়কে শুধু ব্যবহার করেছে। ভোটের সময় পণ্য হিসেবে সনাতনীদের বিজ্ঞাপন করতো আর ভোট শেষ শুরুহতো হিন্দুদের জায়গা দখল। ধর্মীয় সম্প্রতি বিনষ্ট করার জন্য সবধরনের ব্যবস্থা করতো আওয়ামী লীগ। তারা সনাতনীদের উপর নির্যাতন করে উল্টো রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য বিরোধী দলের উপর দোষ চাপাতো। তবে গত এক বছরে সারা বাংলাদেশের সনাতনীরা বুঝে গেছে, আওয়ামী লীগ তাদের জুজুর ভয় দেখাতো। আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর সনাতনীরা দুটো দুর্গাপূজা করলো, কালী পূজো করলো স্বাধীনতার পর সবচেয়ে আনন্দঘন পরিবেশে। হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান সবাই মিলে সেই উৎসবগুলো পালন করলো। যেকোনো মূল্যে এই ধর্মীয় সম্প্রতি রক্ষা করবে বাংলাদেশীরা। এখানে কেউ আর রাজনীতি করতে পারবে না সনাতনীদের নিয়ে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সীতাকুণ্ড উপজেলা ও পৌরসভার যৌথ আয়োজনে শ্রী শ্রী শ্যামা পূজার প্রতিমা নিরঞ্জন অনুষ্ঠানের পূর্বে র্যালীর শুরুতে এসব কথা বলেন শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব সৌরভ প্রিয় পাল। সীতাকুণ্ড পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অমলেন্দু কনকের সভাপতিত্বে র্যালী ও নিরঞ্জন অনুষ্ঠানেআরো উপস্থিত ছিলেন, সীতাকুণ্ড পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবুল বাহাদুর শাস্ত্রী,
পৌরসভা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুজন মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক পাপন কৃষ্ণ দাশ,
সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মিটুন বৈষ্ণব, সহসভাপতি কাকন দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহন পাল, রিমন মহাজন, জয় ভৌমিকসহ প্রমুখ। হাজার হাজার পূর্ণার্থী অংশগ্রহণে সীতাকুণ্ড উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় র্যালীটি বত্রিশটি কালী প্রতিমা সহ সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ব্যাসকুণ্ডে এসে বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হয়।