
অস্ত্র আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এ রায় ঘোষণা করেন। আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর বিল্লাল হোসেন এ তথ্য জানান।
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে আত্মগোপনে চলে যান ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। এরপর ৭ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
সেদিন বিকালে সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে কাকরাইলের ভূইয়া ট্রেড সেন্টারে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়।
ওইদিন প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অভিযান শেষে গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল, ১১৬০টি ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া এবং ‘নির্যাতন করার’ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পাওয়ার কথা জানানো হয় র্যাবের তরফে।
ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ার কারণে সম্রাটকে তাৎক্ষণিকভাবে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই দিনই রমনা থানায় অস্ত্র আইন ও মাদকদ্রব্য আইনে দুটি মামলা করেছিলেন র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক।
তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর আদালতে অস্ত্র মামলায় অভিযোগ পত্র জমা দেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপপরিদর্শক (এসআই) শেখর চন্দ্র মল্লিক। ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর মাদক মামলায় সম্রাট ও সহযোগী আরমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর এসআই আব্দুল হালিম।
গত ১৬ জানুয়ারি অস্ত্র মামলায় অভিযোগ গঠন করে সম্রাটের বিচার শুরু হয়। ওই দিন তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তবে গ্রেপ্তার করা সম্ভব না হওয়ায় তাকে পলাতক দেখিয়ে এ মামলার বিচার কাজ চলে।
বিচার চলাকালে মোট ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে ট্রাইব্যুনাল। গত ৭ অক্টোবর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ২৮ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাতেও গত ১৭ জুলাই সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের আরেক মামলায় তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।







