
মিথ্যা তথ্য দিয়ে গেজেটভুক্ত হওয়ায় ১২৮ জন জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল করেছে সরকার। বুধবার এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকাশিত গেজেট তালিকায় কিছু কিছু জুলাই যোদ্ধা আহত নন, আন্দোলনে সম্পৃক্ত থেকে আহত হননি এবং কয়েক জনের নামে একাধিক গেজেট প্রকাশিত হওয়ার তথ্য মেলে। এ অবস্থায় জেলা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ বিভাগের ২১ জন, সিলেট বিভাগের ২৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৯ জন, খুলনা বিভাগের ৯ জন, রংপুর বিভাগের তিনজন, ঢাকা বিভাগের ১৪ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৩ জন, বরিশাল বিভাগের দুজনসহ মোট ১২৮ জনের গেজেট বাতিল করা হয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের ধরনভেদে ‘ক’, ‘খ’, এবং ‘গ’ শ্রেণিতে ভাগ করে সুযোগ-সুবিধা দেবে সরকার। গণঅভ্যুত্থানে ৮৩৪ জন শহীদের তালিকা গত ১৫ জানুয়ারি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।
পরে ২৭ ফেব্রুয়ারি ‘ক’ শ্রেণির অতি গুরুতর আহত ৪৯৩ জন ও ‘ক’ শ্রেণির গুরুতর আহত ৯০৮ জনসহ মোট এক হাজার ৪০১ জন ‘জুলাই যোদ্ধা’র তালিকা প্রকাশ করা হয়। এরপর ৪ মার্চ বরিশাল বিভাগের ‘গ’ শ্রেণির আহত ৭৭২ জনের তালিকার গেজেট প্রকাশ করা হয়। পরবর্তী সময়ে ‘গ’ শ্রেণির আহত আরও এক হাজার ২৪২ জন জুলাই যোদ্ধার তালিকার গেজেট প্রকাশ করে সরকার।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, আহত বা জুলাই যোদ্ধারা আজীবন চিকিৎসা সুবিধা পাবেন এবং তারা ভাতাও পাবেন। যারা অতি গুরুতর আহত (ক-শ্রেণি) তারা এককালীন পাঁচ লাখ টাকা পাবেন এবং প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। একটি অঙ্গহানি হয়েছে এমন আহত (খ-শ্রেণি) যারা আছেন তারা প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা ভাতা পাবেন এবং তারা এককালীন ৩ লাখ টাকা পাবেন। সামান্য আহত (গ-শ্রেণি) যারা চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়ে গেছেন, তারা চাকরিসহ পুনর্বাসন কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার পাবেন। তারা কোনো ভাতা পাবেন না।







