কালুরঘাট শিল্পাঞ্চলের অর্থনৈতিক কার্যক্রম গতিশীল করবে ওসমানিয়া ব্রীজ: মেয়র ডা. শাহাদাত 

কালুরঘাট শিল্পাঞ্চলের অর্থনৈতিক কার্যক্রম গতিশীল করবে ওসমানিয়া ব্রীজ: মেয়র ডা. শাহাদাত 

চট্টগ্রাম  নগরীর গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক শিল্পাঞ্চল কালুরঘাটের অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে নির্মিত চর রাঙামাটিয়া ও ওসমানিয়া পিসি গার্ডার ব্রীজ উদ্বোধন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

সোমবার ৫ নং মোহরা ওয়ার্ডস্থ উদ্বোধন হওয়া সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয়েছে সাড়ে ৬ কোটি টাকা। এসময় মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে এক বছরের উন্নয়ন কার্যক্রমের অন্যতম বড় সাফল্য হলো এই ওসমানিয়া গার্ডার ব্রিজের উদ্বোধন। বর্তমানে এ এলাকায় প্রায় ১০০ কোটি টাকার উন্নয়নকাজ চলমান রয়েছে।

“চট্টগ্রামবাসীর জন্য একটি সুখবর দিতে চাই। চট্টগ্রাম শহরের ৫০টি টা বড় বড় রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ শীঘ্রই শুরু হতে যাচ্ছে। এছাড়া মনোরেল চালুর বিষয়েও আমরা অনেকটুকু এগিয়ে গেছি। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আরব কনস্ট্রাকশন কোম্পানি জার্মান প্রযুক্তিতে এই কাজ করবে। এছাড়া আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের মাধ্যমে নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। “

নগর সরকারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “যদি সব সেবা সংস্থা মেয়রের অধীনে সমন্বিতভাবে কাজ করে, তাহলে চট্টগ্রামের উন্নয়ন হবে পরিকল্পিত ও টেকসই। এজন্যই আমি ‘নগর সরকার’ ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে আসছি।”
তিনি দাবি করেন, “চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা সমস্যা আমরা ইতোমধ্যে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। ২১টি খাল সংস্কার প্রকল্পের কাজ শুরু হলে নাগরিকরা আরও দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখতে পাবেন।”
সিডিএ যে খাল খনন প্রকল্প করছে সেগুলোর বাহিরে যে ২১ টা খাল রয়ে গেছে সেগুলো আমরা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে খননের জন্য আমরা একটা ডিপিপি রেডি করছি। ২১ টা খাল সংস্কার আমরা এই বছর আমরা শুরু করব এবং সিডিএ’র যে আরো ১২ টা খাল খননের অপেক্ষায় আছে সেগুলো খনন হলে দৃশ্যমান জলাবদ্ধতার সমস্যার সমাধান আপনারা দেখতে পারবেন।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, “প্রতিদিন ৩,০০০ মেট্রিক টনের মধ্যে ২,২০০ মেট্রিক টন বর্জ্য আমরা সংগ্রহ করছি। ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহ প্রকল্পে কোনো পরিবার থেকে ৭০ টাকার বেশি নেওয়া হলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির চুক্তি বাতিল করা হবে। বাংলাদেশে প্রথম চট্টগ্রামেই বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদন প্রকল্প শুরু হয়েছে। এই প্রকল্প থেকে আয় হলে তখন নাগরিকদের থেকে আর টাকা দেয়া হবেনা উল্টো ময়লা কিনে নেয়া হবে এটাই হবে আমাদের সাস্টেনেবল সিটি মডেল।”

স্বাস্থ্য খাতে মেয়র জানান, “চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ১৫ বছরের নিচে শিশুদের জন্য বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকা প্রদান করছে, যা বাইরে নিতে গেলে প্রায় ১৫০০ টাকা খরচ হয়। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামে ‘পিংক সিটি জোন’ গড়ে তোলা হয়েছে ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতার জন্য। পুরো অক্টোবর মাসজুড়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও অপারেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম আমাদের গর্বের শহর। আগামী প্রজন্মকে একটি সুন্দর, নিরাপদ ও বাসযোগ্য নগর উপহার দিতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”

এই সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব মোহাম্মদ এরশাদ উল্লাহ, ৫ নং মোহরা ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ আজম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সহসভাপতি ইদ্রিস মিয়া, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য মোঃ ইয়াসিন, ৫ নং মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম ফিরোজ খান, মোহরা ৫নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি ইকবাল রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো: আবু বক্কর সিদ্দিক, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি নিয়াজ মোরশেদ খান, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ রাশেদ আলম, চট্টগ্রাম মহানগরের ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আইয়ুব খান ও যুবদল, ছাত্রদল অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on email