
আসন্ন ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি সফল করতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি এক প্রস্তুতি সভার আয়োজন করে।সভাটি মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি আসন্ন ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেন
★ ৬ নভেম্বর সকাল ১১টায়: শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ।
★ ৭ নভেম্বর বিকাল ৩টায়: নগরীর বিপ্লব উদ্যানে জনসভা, যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক জনাব এরশাদ উল্লাহ এবং প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জনাব নাজিমুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন,
৭ নভেম্বর ১৯৭৫ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এই দিনটির মধ্য দিয়েই সংকীর্ণ বাঙালি জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে বাংলাদেশে উদার, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সর্বজনীন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ-এর যাত্রা শুরু হয়। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জাতিকে বিভাজনের রাজনীতি থেকে মুক্ত করে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে এক নতুন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দর্শনের সূচনা করেন।
তিনি বলেন, শহীদ জিয়া সমাজতন্ত্রের নামে লুটপাটনির্ভর অর্থনীতির পরিবর্তে উৎপাদননির্ভর উন্নয়ন অর্থনীতির পথে দেশকে ফিরিয়ে আনেন। কৃষি, শিল্প, শ্রমজীবী মানুষ ও যুব সমাজের মধ্যে নতুন করে আত্মবিশ্বাস ও কর্মপ্রেরণা সঞ্চার করেন। তাঁর সময়েই বাংলাদেশ আত্মনির্ভরতার পথে অগ্রসর হতে শুরু করে। বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শই আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনসমূহ ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। সংকট যতই গভীর হোক না কেন, শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত থেকে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আমরা সফলতা অর্জন করব।
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি শহীদ জিয়ার দেখানো নীতিতে অবিচল থাকি এবং জনগণের আস্থা অর্জনে কাজ করি, তাহলে বাংলাদেশ আবারও একটি উৎপাদনশীল, আত্মনির্ভর ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। বিএনপি সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে—জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে দেশের অগ্রগতি সুসংহত করা।
সভাপতির বক্তব্য চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক জনাব এরশাদ উল্লাহ বলেন,
৭ নভেম্বর জাতীয় সংহতি দিবস আমাদের জাতীয় ঐক্য, স্বাধীনতার চেতনা ও জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তির প্রতীক। ১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতি বিভাজন ও অনিশ্চয়তার অন্ধকার থেকে ঐক্যের পথে যাত্রা শুরু করেছিল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ-এর মাধ্যমে জাতিকে নতুনভাবে চিনতে শিখিয়েছিলেন—যেখানে ধর্ম, পেশা, শ্রেণি নির্বিশেষে সকল নাগরিকই জাতীয় ঐক্যের অংশ।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিকে আরও শক্তিশালী ও সংগঠিত করা জরুরি। তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের দায়িত্ব নিতে হবে—জনগণের ঘরে ঘরে পৌঁছে শহীদ জিয়ার আদর্শ ও দলের অবস্থান তুলে ধরতে হবে। দলীয় ঐক্য, শৃঙ্খলা ও জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারের মধ্য দিয়েই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইকে সফল করতে হবে।”
তিনি বলেন, বিএনপি সব সময়ই জনগণের দল। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনই শহীদ জিয়ার আদর্শের প্রকৃত বাস্তবায়ন। তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবে।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এম এ আজিজ, এডভোকেট আব্দুস সাত্তার, শফিকুর রহমান স্বপন, হারুন জামান, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, শওকত আজম খাজা, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, শিহাব উদ্দিন মুবিন, মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য এডভোকেট মফিজুল হক ভুঁইয়া, ইকবাল চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন জিয়া, এম এ হান্নান, আবুল হাশেম, মুজিবুল হক, মোহাম্মদ মহসিন, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, সৈয়দ শিহাব উদ্দিন আলম, মোশারফ হোসেন ডিপটি, মোহাম্মদ জাফর আহমেদ, এ কে খান, গাজী আইয়ুব, মাহাবুব রানা, এম এ সবুর, নূর উদ্দিন নুরু,আবু মুসা, হানিফ সওদাগর, মো: আজম, আশরাফুল ইসলাম, মো: ইউসুফ,
বক্তব্য রাখেন যুবদলের শেখ নুরুন্নাবাহার, মোশারফ হোসেন দিপ্তী, মোহাম্মদ সাহেদ, মহিলাদলের মনোয়ারা বেগম মনি, জেলী চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের বেলায়েত হোসেন বুলু,জমির উদ্দিন নাহিদ, ছাত্রদলের সাইফুল আলম, শরিফুল ইসলাম তুহিন এবং আরো নেতাকর্মীদের মধ্যে মাওলানা শহীদুল্লা চিশতী, জয়নাল আবেদীন, মনিরুজ্জামান সহ প্রমুখ।







