
দীর্ঘ ১৮ বছরের প্রবাস জীবনের অবসান ঘটিয়ে দেশে ফেরার জন্য ট্রাভেল পাস (ভ্রমণ নথিপত্র) হাতে পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শুক্রবার বিকেলে লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে তিনি এই বিশেষ ভ্রমণ অনুমতিপত্র গ্রহণ করেন। তার কন্যা জাইমা জারনাজ রহমান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে লিখেছেন, “আলহামদুলিল্লাহ, বাবা আজ কিছুক্ষণ আগে ট্রাভেল ডকুমেন্ট হাতে পেয়েছেন।”
বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার জানিয়েছেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান লন্ডন থেকে সরাসরি সিলেট হয়ে ঢাকায় পৌঁছাবেন। এদিন বেলা ১১টার পর তাকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। এই সফরে তার সাথে মেয়ে জাইমা রহমানও থাকছেন। বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন তার অসুস্থ মা বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে।
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে একটি শক্তিশালী অভ্যর্থনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করছেন।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, শৃঙ্খলা বজায় রেখে প্রিয় নেতাকে বরণ করে নেওয়ার জন্য সব ধরনের যাচাই-বাছাই চলছে। সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এই ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে এক বিশাল জনসমাগমের প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে লন্ডনে গিয়েছিলেন তারেক রহমান। এর আগে ২০০৭ সালের সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে আটক করা হয়েছিল। দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর তাঁর এই ফেরাকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিরাপত্তা ও অভ্যর্থনার জন্য বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনগুলো দেশব্যাপী ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।







