
রোজারিওতে জন্মগ্রহণ করা লিওনেল মেসি জীবনের নানা ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে পায়ের জাদুতে জয় করেছেন কোটি মানুষের হৃদয়। ব্যালন ডি অর থেকে শুরু করে গোল্ডেন বুট- কী নেই তার অর্জনের ঝুলিতে। তবে আজ মাঠে নামলেন তিনি কান্নাভেজা চোখে।
সবুজ গ্যালারি, আকাশী-সাদা জার্সি আর কান্নাভেজা চোখ। বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা তারকা লিওনেল মেসি মাঠে নেমেছিলেন আর্জেন্টিনার হয়ে। ম্যাচের প্রতিটি ছোঁয়া, প্রতিটি পাস আর প্রতিটি মুহূর্তে ছিল বিদায়ের আবেগ। ভক্তরা একদিকে গ্যালারি থেকে উল্লাস ছড়ালেও, অন্যদিকে চোখের জলে আটকাতে পারেননি।
ফুটবল মহাতারকার আর্জেন্টিনার জার্সিতে এটি ছিল তার শেষ ম্যাচ। আলোচনা হচ্ছে তার সম্ভাব্য শেষ ম্যাচও হতে পারে এটি। বিশ্বজুড়ে কোটি ভক্ত আবেগে ভেসেছেন এ বিদায়ে।
শেষবেলায় এসে নিজের সবটুকু আলো উজাড় করে দিলেন ভেনিজুয়েলার বিপক্ষের ম্যাচে। এস্তাদিও মনুমেন্টাল যেন আবেগ আর ইতিহাসের এক মঞ্চ হয়ে উঠেছিল। জোড়া গোলে দলকে জিতিয়েছেন মেসি। আর্জেন্টিনার ৩-০ গোলে জয়ের ম্যাচ দিয়ে গড়েছেন বিশ্বরেকর্ড। তার দল মাঠ ছাড়ে সহজ জয় নিয়ে।
২০০৬ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে প্রথম বিশ্বকাপে খেলার পর থেকে আর্জেন্টিনার ফুটবলের প্রতিটি অধ্যায়েই ছিলেন মেসি। তার হাত ধরেই আর্জেন্টিনা পৌঁছেছে তিনটি বিশ্বকাপ ফাইনালে, আর কাতারে পেয়েছে স্বপ্নের শিরোপা।
দীর্ঘ দুই দশকের ক্যারিয়ারে মেসি জিতেছেন সবকিছু- বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকা, অসংখ্য রেকর্ড। আজ তার শেষ ম্যাচ। ১৬ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে আগেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা। তাই এ ম্যাচ ছিল বিদায়ের আবেগে ভরপুর। তবে ভক্তদের মনে এখন একটাই প্রশ্ন—২০২৬ সালের বিশ্বকাপে কি দেখা যাবে মেসিকে?