চাকসু ভিপি ইব্রাহিম, জিএস হাবীব, এজিএস ছাত্রদলের তৌফিক

চাকসু ভিপি ইব্রাহিম, জিএস হাবীব, এজিএস ছাত্রদলের তৌফিক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে সহ-সভাপতি (ভিপি) ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে বিজয়ী হয়েছেন শিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের প্রার্থীরা। তবে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে নির্বাচিত হয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ভোর পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণায় এ তথ্য জানা যায়। ফলাফল ঘোষণা করেন চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনিরুল ইসলাম।
এর মধ্যে ভিপি পদে শিবির সমর্থিত ইব্রাহিম হোসেন রনি মোট সাত হাজার ৯৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম ছাত্রদলের প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় পেয়েছেন ৪৩৭৪ ভোট।
জিএস পদে ছাত্রশিবিরের প্রার্থী সাঈদ বিন হাবীব পেয়েছেন মোট ৮ হাজার ৩১ ভোট। আর ছাত্রদল প্যানেলের প্রার্থী শাফায়াত হোসেন পেয়েছেন দুই হাজার ৭২৪ ভোট।
চাকসু ভিপি ইব্রাহিম, জিএস হাবীব, এজিএস ছাত্রদলের তৌফিক
তবে এজিএস পদে ছাত্রদলের প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক মোট সাত হাজার ১৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম শিবির মনোনীত প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন মুন্না পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৪৫ ভোট।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। চাকসুর ২৬টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪১৫ জন প্রার্থী, আর হল ও হোস্টেল সংসদের ২৪টি পদের জন্য লড়েছেন ৪৯৩ জন।

ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে কারচুপির নাানা স্লোগানে তার উত্তপ্ত করে তুলেছে ক্যাম্পাস। যদিও কেন্দ্রীয়ভাবে বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত চাকসু নিয়ে কোনো অনিয়ম, কারচুপি বা জালিয়াতি অভিযোগ ওঠেনি। তবে ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসে সাংবাদিকদের কাছে নির্বাচন কমিশনকে ‘অথর্ব’ আখ্যায়িত করে বলেছেন, কিছু নির্দিষ্ট অনিয়ম তাদের সামনে বার বার তুলে ধরে আমরা সেগুলো বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বার বার অনুরোধ জানিয়েছি। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। বরং নিজেদের অসহায়ত্বের কথা বলো দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন।নির্বাচন কমিশনার এই নির্বাচনে কলঙ্কিত অধ্যায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি গোপনে আমাদের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমি বিষয়টি তদন্তের দাবি জানাই।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সোহরাওয়ার্দী হল সংসদে ভোট কারচুপির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মো. কামাল উদ্দিনকে অবরুদ্ধ করে রাখেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে রাত সোয়া ৩টার দিকে তাকে বাসায় যেতে দেওয়া হয়।এই উপ-উপাচার্যের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের অভিয়োগ তিনি সোহরাওয়ার্দী হল সংসদে ছাত্রদল সমর্থিত সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থীকে কারচুপির মাধ্যমে পরাজিহ করেছেন। ভোট গণনার পুনরায় দাবি তুলে তারা তাকে প্রকৌশল অনুষদের (আইটি বিল্ডিং) ৩১২ নম্বর কক্ষে আটকে রাথেস। রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ এসে উপ-উপাচার্যকে প্রকৌশল অনুষদ থেকে বের করে নিয়ে যায়।

সবমিলিয়ে নির্বাচনী আমাজে উৎসবে জমজমাট ক্যাম্পাসে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যদিও এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন পুর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণা করেনি। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪টি হল ও ১টি হোস্টেল মধ্যে ৯টি হল ও ১টি হলের ফলাফল পাওয়া গেছে। বাকি হলগুলোর ভোটের ফলাফল কি হবে, সেই আভাস এরই মধ্যে সাধারণ শিক্ষার্থী পেয়ে গেছে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on email