দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন মনে করেন, ভোটাররা যদি আসন্ন নির্বাচনে দুর্নীতিবাজ ও চাঁদাবাজদের ভোট না দেন এবং তাদের প্রত্যাখ্যান করেন, তবে দেশে দুর্নীতির হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে।
মঙ্গলবার সকালে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান।
দিবসটি উপলক্ষে দুদক প্রধান কার্যালয়ের সামনে জাতীয় পতাকা ও দুদক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর সকাল ৯টায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
দুদক চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে বলেন, আসছে নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের বাদ দিয়ে সঠিক লোককে নির্বাচিত করতে হবে ভোটারদের। দুর্নীতিবাজ-চাঁদাবাজদের ভোটাররা প্রত্যাখ্যান করলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমে আসবে।
তিনি স্বীকার করেন যে, সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি এমনভাবে ছড়িয়ে আছে যে তা সম্পূর্ণ নির্মূল করা কঠিন। এই পরিস্থিতিতে তিনি বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, “দুর্নীতিবাজদের উৎসব যেন প্রতিদিন, কিন্তু দুর্নীতি বিরোধীদের মাত্র একদিনের উদ্যোগে তাদের লাগাম টানা সম্ভব।”
জাতিসংঘ ২০০৩ সালে ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ইউনাইটেড ন্যাশনস কনভেনশন অ্যাগেইনেস্ট করাপশনে (আনকাক) স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৯১টি দেশ এই দিবসটি উদযাপন করে থাকে।
এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য হলো: ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা: গড়বে আগামীর শুদ্ধতা’।
বরাবরের মতো এবারও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ৮টি বিভাগ, ৬৪টি জেলা এবং ৪৯৫টি উপজেলায় বড় পরিসরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে দেশে সব সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ, সরকারি-আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং পিকেএসএফসহ অন্যান্য বেসরকারি সংস্থায় দুর্নীতিবিরোধী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
দুদকের পাশাপাশি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) সহ অন্যান্য সংস্থা আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। বাংলাদেশ আনকাকের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে দুদক ২০০৭ সাল থেকে এই দিবসটি পালন শুরু করে। তবে সরকারিভাবে দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে ২০১৭ সাল থেকে।
