
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে থাকা দুই ছাত্র প্রতিনিধি মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ পদত্যাগ করেছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একটি সূত্র তাঁদের পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
নিয়মানুযায়ী প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
আসিফ মাহমুদ দুই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে ছিলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে, মাহফুজ আলম তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব সামলিয়েছেন।
সরকারের বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, খালি হওয়া এই তিন মন্ত্রণালয়ে শেষ মুহূর্তে এসে নতুন উপদেষ্টা নিয়োগের সম্ভাবনা কম। কারণ, তফসিল ঘোষণার পর নতুন উপদেষ্টা নিয়োগ দিলে সমালোচনা হতে পারে। সেজন্য পুরোনো উপদেষ্টাদের মধ্যে এই মন্ত্রণালয়গুলো বণ্টন করা হতে পারে। এক্ষেত্রে কয়েকজন উপদেষ্টা আলোচনায় রয়েছেন।
এদের মধ্যে শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। অতিরিক্ত হিসেবে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন। তিনি বর্তমানে শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব রয়েছেন।
অন্যদিকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। রিজওয়ানা বর্তমানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। উপদেষ্টা পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পাওয়া অধ্যাপক আলী রীয়াজকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হচ্ছে।







