
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফাতেহ আলী (৬১) ও তার তিন সহযোগীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ১৫ অক্টোবর নতুন তারিখ ধার্য করেছেন।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৫-এর বিচারক সাইফুর রহমান মজুমদার শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
এদিন মামলাটির অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। সুব্রত বাইনের আইনজীবীরা তার জামিনের জন্য শুনানি করেন, যার বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সুব্রত বাইনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অবৈধ নিয়োগের অভিযোগ
একই সঙ্গে, অভিযোগপত্রভুক্ত সব আসামির উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আদালত নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।
গত ১৩ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৫-এ স্থানান্তর করা হয়।
অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য তিন আসামি হলেন—আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ, এম এ এস শরীফ এবং আরাফাত ইবনে নাসির।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মে ভোর ৫টার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ অভিযানে কুষ্টিয়া জেলা থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল্লা মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে সুব্রত বাইনের দুই সহযোগী শ্যুটার আরাফাত ও শরীফকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযানকালে তাদের কাছ থেকে পাঁচটি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩টি গুলি এবং একটি স্যাটেলাইট ফোন উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় ২৮ মে হাতিরঝিল থানার এসআই আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
সুব্রত বাইনের বিরুদ্ধে হত্যা ও চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। ১৯৯১ সালে রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় জাসদ ছাত্রলীগ নেতা মুরাদ হত্যার মধ্য দিয়ে তার অপরাধ জগতে উত্থান ঘটে।
২০০১ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছিল, তাদের মধ্যে ঢাকার অপরাধ জগতের অন্যতম প্রভাবশালী সেভেন স্টার গ্রুপের প্রধান সুব্রত বাইনও ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বেড়ে গেলে ২০০৩ সালের দিকে তিনি ভারতে পালিয়ে যান।