
চট্টগ্রামকে ক্লীন, গ্রীন ও হেলদি সিটিতে পরিণত করতে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের আরও মনোযোগ দিয়ে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, “শহরকে পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য রাখতে হলে পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীদের দায়িত্বশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে নাগরিকদেরও যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে হবে।”
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে লালদিঘীস্থ চসিক পাবলিক লাইব্রেরির সম্মেলন কক্ষে পরিচ্ছন্ন বিভাগের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র এ কথা বলেন।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “শহরকে পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য রাখতে হলে পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীদের দায়িত্বশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ডোর টু ডোর সেবার উপর ভরসা করে আমাদের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম কিছুটা শিথিল হয়ে পড়েছে। এটি চলতে পারে না। পরিচ্ছন্ন কর্মীরা যদি দায়িত্ব পালন না করেন, তাহলে ধরে নিতে হবে তারা শুধু সই করে চলে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে আমি কঠোর অবস্থান নেব।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “ আমি বর্জ্য পরিস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্ট না। আমি সরজমিনে রাতে ভিজিট করব। পরিচ্ছন্ন কাজে অনিয়ম পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেব। সুপারভাইজারদেরও দায়িত্ব নিতে হবে—মাঠে শ্রমিকরা উপস্থিত আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কাজের গতির ওপরই শহরের পরিবেশ নির্ভর করছে। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা যে ৬ জন আছেন তারা আপনাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত ওয়ার্ডে রাত্রে বের হয়ে যাচাই করবেন।”
সভায় প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, জনবল পর্যাপ্ত থাকলেও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমে গতি আনতে পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতির ঘাটতি আছে। তাছাড়া কার্যক্রম তদারকির জন্য নির্দিষ্ট গাড়ির অভাবেও অনেক সময় কাজে বিঘ্ন ঘটে।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “শহরকে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর রাখতে হলে সবাইকে নিয়ম-কানুন মানতে হবে। যত্রতত্র ময়লা ফেলা, ব্যানার-পোস্টার ঝোলানো বন্ধ করতে হবে। নাগরিকরা সচেতন হলে এবং পরিচ্ছন্ন কর্মীরা আন্তরিক হলে চট্টগ্রামকে খুব সহজেই ক্লীন, গ্রীন ও হেলদি সিটিতে রূপান্তর করা সম্ভব। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে অনেকটুকু অগ্রগতি হয়েছে। এখন আমি ক্লিন সিটি গড়ার বিষয়ে আরো মনোযোগী হব।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, চসিকের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ ও পরিচ্ছন্ন বিভাগের সকল কর্মকর্তা বৃন্দ।