
সারা দেশে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। শনিবার সায়ংকালে বোধন, অধিবাস ও আমন্ত্রণের মধ্য দিয়ে মণ্ডপে মণ্ডপে অধিষ্ঠিত হয়েছেন চিন্ময়ী আনন্দরূপিণী দেবী দুর্গা। উলুধ্বনি, শঙ্খ ও ঢাক-ঢোলের বাজনায় মুখর হয়ে উঠেছে পূজামণ্ডপগুলো।
আজ রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) মহাষষ্ঠী, যা চলবে রাত ৯টা ৫৭ মিনিট পর্যন্ত। সোমবার মহাসপ্তমী, মঙ্গলবার মহাষ্টমী, বুধবার মহানবমী এবং বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমী। সেদিন বিকেল ৩টায় রাজধানীসহ সারাদেশে বিজয়া শোভাযাত্রা বের করা হবে। এ বছর দেবীর আগমন ‘গজে’ (হাতি), গমন ‘দোলায়’।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দুর্গোৎসব আনন্দ ও সৌহার্দ্যের উৎসব, যা পারস্পরিক সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্বকে আরও সুদৃঢ় করে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ধর্ম–বর্ণ–ভেদাভেদ ভুলে সকলকে বৈষম্যহীন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জানায়, এ বছর সারাদেশে ৩৩ হাজার ৩৫৫টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা গত বছরের চেয়ে ১ হাজার ৮৯৪টি বেশি। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ৯০৬টি মণ্ডপে পূজা হচ্ছে। নিরাপত্তায় মোতায়েন রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, অধিকাংশ মণ্ডপে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
সনাতন বিশ্বাস অনুযায়ী, ঘোটক (ঘোড়া) বাহনে দেবীর আগমন অস্থিরতার প্রতীক হলেও ভক্তদের আশা—সকল অশুভ শক্তি দমন করে শুভশক্তির জয় হবে, বিসর্জনের আনন্দে মেতে উঠবে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়।