চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দেড় কোটি টাকার কাপড়সহ দুইটি কনটেইনার গায়েব

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দেড় কোটি টাকার কাপড়সহ দুইটি কনটেইনার গায়েব

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকার কাপড়সহ দুইটি কনটেইনার গায়েবের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক বলছে, এটি স্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়। গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।

রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ ইমরানের নেতৃত্বে একটি দল বন্দর চেয়ারম্যান, কাস্টম হাউসের কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন।।

সৈয়দ ইমরান বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল দুইজন বিডার কাস্টম হাউস থেকে নিলামে পণ্য কিনেছেন। কেনার আগে তারা ইয়ার্ডে পণ্য দেখে এসেছেন। সব চার্জ পরিশোধ করে ডেলিভারির জন্য গেলে জানানো হয় কনটেইনারগুলো পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর তারা বন্দর ও কাস্টমসে আবেদন করেছেন। তারা এখনো পণ্য বা টাকা ফেরত পাননি। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এসেছি।

তিনি বলেন, বন্দরের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মেজর আনিসের সঙ্গে কথা বলতে বলেছেন। আমরা তাঁকে কর্মস্থলে পাইনি। এরপর কাস্টম হাউসের কমিশনার মহোদয়ের সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি নিলাম শাখার কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার জন্য বলেছেন। আমরা নিলাম শাখায় যাচ্ছি। এটি স্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়। গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। বন্দর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, যার প্রধান হলেন পরিচালক (নিরাপত্তা)।
এর আগে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম থেকে ৮৫ লাখ টাকায় প্রায় ২৭ টন কাপড় কেনেন শাহ আমানত ট্রেডিংয়ের মালিক সেলিম রেজা। নিলামের আগে বন্দরের ইয়ার্ডে থাকা কনটেইনারে পণ্যও পরিদর্শন করেন তিনি। এরপর পণ্য ডেলিভারি নিতে মূল্য, শুল্ককর ও বন্দরের চার্জসহ এক কোটি সাত লাখ টাকা পরিশোধ করেন।

অথচ ২৬ ফেব্রুয়ারি ট্রাক নিয়ে বন্দরের ইয়ার্ডে গেলে দিনভর খোঁজাখুঁজি শেষে জানানো হয় কনটেইনারটি পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় তারা কাস্টম হাউসের কমিশনার বরাবর তিনটি চিঠি দিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির কোটি টাকা আটকে আছে ৭ মাস।বিডার ইয়াকুব চৌধুরীর পার্টনার তপন সিংহ অপর এক নিলামে পাওয়া কাপড়ের কনটেইনার খালাস করতে গেলে খোঁজ মেলেনি সেটিরও। ৩৫ লাখ ৫১ হাজার টাকা দর হাঁকার পর ৪২ লাখ টাকা জমা দেন কাস্টম হাউসে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on email