জুলাই আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল শান্তি, আজ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে — আল্লামা এম.এ. মতিন

জুলাই আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল শান্তি, আজ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে — আল্লামা এম.এ. মতিন

বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আল্লামা এম.এ. মতিন বলেছেন, জুলাই আন্দোলনে অনেকেই পঙ্গু হয়েছেন, অনেকে শহীদ হয়েছেন স্বৈরাচার হটানোর জন্য। আমরা ভেবেছিলাম এ বিপ্লবের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে, কিন্তু বর্তমান সরকারও বিগত সরকারের মতো জাতিকে বিভক্ত করে রেখেছে।
তিনি বলেন, দেশে ৫৬টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে, অথচ ৩০টি দল নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকের নামে প্রহসন করা হচ্ছে। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে বাদ দিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকের আয়োজন করার নিন্দা জানাই। আমরা জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধা, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে সবসময় মজলুমের পক্ষে সংগ্রাম করেছি। অথচ রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে আমাদের কোনো মতামত নেওয়া হয়নি।
আল্লামা এম.এ. মতিন আরও বলেন, সংবিধান সংশোধন নির্বাহী আদেশে সম্ভব নয়। মানুষ ভেবেছিল জুলাই আন্দোলনের পর শান্তিতে থাকবে, কিন্তু আজ মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই। মব সন্ত্রাস দ্রুত বন্ধ করতে হবে। বিগত সরকারের মতো বর্তমান সরকারও ‘সিলেকশন’-এর দিকে এগোচ্ছে। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, শান্তির পক্ষে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় আনোয়ারা উপজেলা (পূর্ব-পশ্চিম) পরিষদে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা ও ছাত্রসেনার আয়োজনে সাবেক-বর্তমান নেতৃবৃন্দের প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট আনোয়ারা উপজেলা পশ্চিম পরিষদের সভাপতি মাওলানা আহমদ নূর আল কাদেরী। উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সচিব এস.এম. শাহজাহান। প্রধান বক্তা ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জননেতা অ্যাডভোকেট আবু নাসের তালুকদার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ইসলামী ফ্রন্টের সভাপতি মাওলানা ফেরদৌসুল আলম খান আল-কাদেরী। বিশেষ বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ইসলামী যুবসেনার সভাপতি মুহাম্মদ দিদারুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ইসলামী ছাত্রসেনার সভাপতি মোহাম্মদ ওসমান।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আনোয়ারা উপজেলা পশ্চিম পরিষদের ইসলামী ফ্রন্ট সভাপতি মাওলানা মনির আহমদ আনোয়ারী।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on email