
কলা আমাদের পরিচিত একটি ফল, যা গ্রাম-গঞ্জ বা শহরের বাজারে সহজলভ্য। বছরের যেকোনো সময়ে সহজেই পাওয়া যায়, দামও সাশ্রয়ী এবং খেতেও ঝামেলা কম। তাই নাশতা, দুপুরের খাবার বা বিকেলের স্ন্যাকস—কোনো সময়েই কলা খাদ্যতালিকায় স্থান পায়।
কিন্তু এই সাধারণ ফলটির মধ্যে লুকিয়ে আছে শক্তি যোগ করার ক্ষমতা, হজম উন্নত করার ক্ষমতা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা। বিশেষজ্ঞদের মতে, কলা কখন খাচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করে এর স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রভাবিত হয়।
কলা খাওয়ার সঠিক সময় ও উপকারিতা
১. শক্তি বৃদ্ধির জন্য
বাদামের কুলফি তৈরির সহজ রেসিপি
ব্যায়ামের আগে: ব্যায়ামের ১৫–৩০ মিনিট আগে একটি কলা খেলে শরীর দ্রুত শক্তি পায় এবং পেশি কাজের জন্য প্রস্তুত হয়।
নাশতার সঙ্গে: দই, ওটস বা পাউরুটির সঙ্গে কলা খেলে দিনের শুরুতে সতেজ থাকে এবং ক্লান্তি কম আসে।
দুপুর বা বিকেলের স্ন্যাকস হিসেবে: দুপুরের খাবারের পর বা বিকেলের ক্ষুধায় একটি কলা খেলে শরীর ও মন সতেজ থাকে।
২. হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য
খাবারের সঙ্গে খাওয়া: নাশতা বা দুপুরের খাবারের সঙ্গে কলা খেলে ফাইবার হজম প্রক্রিয়া সহজ করে।
অপক্ব কলা: আধাপাকা বা কাঁচা কলায় থাকে রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ, যা পেটে ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে এবং হজমকে সহায়তা করে।
রাতে খাওয়ার বিষয়টি: যদিও কেউ কেউ মনে করেন রাতে কলা খেলে হজম ধীর হয়, বৈজ্ঞানিক প্রমাণ তা নিশ্চিত করে না। যাদের সমস্যা হয়, তারা রাত এড়িয়ে চলতে পারেন।
৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে কলার ভূমিকা
খাবারের আগে খাওয়া: ভাত বা রুটি খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে কলা খেলে পেট দ্রুত ভরে যায় এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে।
স্ন্যাকস হিসেবে: দুপুর ও রাতের খাবারের মাঝে একটি কলা ক্ষুধা মেটায়, তবে ক্যালরি বাড়ায় না।
ব্যায়ামের আগে খাওয়া: ব্যায়ামের আগে কলা খেলে তাৎক্ষণিক শক্তি পায়, যা ক্যালরি পোড়াতে সহায়ক।
অপক্ব কলা: এতে ফাইবার বেশি, চিনি কম, যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ ও ওজন কমাতে সহায়।
কলার পুষ্টিগুণ
মাঝারি আকারের একটি কলায় থাকে প্রায় ১০৫ ক্যালরি, সঙ্গে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি৬। পাকা কলায় চিনি বেশি থাকে, কিন্তু অপক্ব কলায় ফাইবার ও স্টার্চ বেশি থাকে। নাশতার সঙ্গে বা ওটমিলের সঙ্গে কলা খেলে পুষ্টিগুণ আরও ভালোভাবে উপকার করে।
সতর্কতা
দিনে এক কলাই যথেষ্ট। ডায়াবেটিস, কিডনি সমস্যা বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ক্ষেত্রে নিয়মিত কলা খাওয়ার আগে ডাক্তার পরামর্শ নিন। সীমিত পরিমাণে এবং সঠিক সময়ে কলা খেলে এর সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য উপকার পাওয়া যায়।