চন্দনাইশে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন অ্যাডভোকেসি সভা

চন্দনাইশে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন অ্যাডভোকেসি সভা

সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামের চন্দনাইশে টাইফয়েড টিকাদান ক‍্যাম্পেইন সভা সফল করতে আ‍্যডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সম্মেলন কক্ষে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রশ্মি চাকমার সভাপতিত্বে অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসক মো. রাজিব হোসেন।
ডা. দিপন দেবনাথ, এমওডিসি এর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার আবু রাশেদ মোহাম্মদ নুরুদ্দিন, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কবির হোসেন, মাধ্যমিক অ্যাকাডেমিক সুপার ভাইজার বিপিন চন্দ্র রায়, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুমিত ভট্টাচার্য, চন্দনাইশ প্রেসক্লাব সভাপতি মোহাম্মদ কমরুদ্দিন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম মোস্তফা, সাংবাদিক শাহাদাত হোসেন, পরিসংখ্যানবিদ আহসান হাবিব, এমটি (ইপিআই) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন উপজেলা সুপারভাইজার মাওলানা নুরুল হক সিকদার, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মঈনুদ্দিন মিজান, নার্সিং সুপারভাইজার কৃষ্ণা বড়ুয়া, সিনিয়র স্টাফ নার্স নেভি চক্রবর্ত্তী, উম্মে খাইর, সোনিয়া দত্ত,স্বাস্থ্য সহকারী কাজী মো. রিদোয়ান প্রমূখ।

সভায় ডা. রশ্মি চাকমা জানান, চন্দনাইশ উপজেলার দুই পৌরসভা ও আট ইউনিয়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে মোট ২৯৫ টি এবং কমিউনিটি পর্যায়ে ২৪২ টি কেন্দ্রে মোট ৭৭ হাজার ৩৫৬ জন শিশুকে টাইফয়েড টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ১৩২ টি মাদরাসা, ২৯ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৯১ টি প্রাথমিক ও ৪৩ টি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ৫৫ হাজার ৫২৬ জন এবং কমিউনিটি পর্যায়ে ২৪২ টি কেন্দ্রে ২১ হাজার ৮৩০ জন শিশুকে এই টিকা প্রদান করা হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে দুই জন টিকাদানকারী ও তিন জন স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন।

উপজেলার ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী প্রতিটি শিশুকে টিকা প্রদান নিশ্চিত করা হবে। এই টিকা পেতে জন্মনিবন্ধন সনদের তথ্য দিয়ে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে। তবে কারো জন্ম নিবন্ধন না করা থাকলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করে ম্যানুয়ালি রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে। ক্যাম্পেইনে বাদ পড়াদের পরবর্তীতে টিকা প্রদান করা হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও মো. রাজিব হোসেন বলেন, বাচ্চাদেরকে সুস্থ্য রাখার জন্য পিতা-মাতাকে সচেতন হতে হবে। টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে প্রচার বাড়াতে হবে। এ বিষয়ে গুজব প্রতিরোধে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তিনি বলেন, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধিসহ দায়িত্বশীলদের টাইফয়েড টিকা বিষয়ে সক্রিয় ভুমিকা রাখতে হবে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকেও টিকাটি সম্পুর্ণ নিরাপদ। সকল শিশু টিকা নিলে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। নির্দিষ্ট দিনে টিকা নিতে টিকাদান কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের আসতে উদ্বুদ্ধ করতে অভিভাবকদের ভুমিকার উপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on email