টাইফয়েড থেকে শিশুদের বাঁচাতে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন নিন: মেয়র ডা. শাহাদাত

টাইফয়েড থেকে শিশুদের বাঁচাতে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন নিন: মেয়র ডা. শাহাদাত

টাইফয়েডের ভয়াবহতা থেকে শিশুদের বাঁচাতে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে চসিক পাবলিক লাইব্রে রি মিলনায়তনে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির অ্যাডভোকেসি সভা ও সংবাদ সম্মেলনে মেয়র বলেন, ব্যক্তিগতভাবে কিনে এই ভ্যাকসিন দিতে গেলে চৌদ্দশত টাকা খরচ হয়। কিন্তু আমরা শিশুদের এই ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দিচ্ছি। টাইফয়েড প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো টিকা গ্রহণ। তাই নগরের প্রতিটি শিশু যেন বিনামূল্যে এই টিকা গ্রহণ করে, সে বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। আমরা চাই, চট্টগ্রাম নগরী হোক টাইফয়েডমুক্ত নিরাপদ নগরী।

সংবাদ সম্মেলনে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন জানান, সরকারের ইপিআই কর্মসূচির আওতায় দেশব্যাপী রোববার (১২ অক্টোবর) টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হবে।. স্কুল পর্যায়ে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এবং কমিউনিটি পর্যায়ে ১-১৩ নভেম্বর টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে। নগরের ১ হাজার ৫৪৬টি স্কুল ও ৭৮৩টি আউটরিচ সাইডে ৮ লাখ ২৯ হাজার ৩০১ শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি । এর মধ্যে স্কুল শিক্ষার্থী ৫ লাখ ৩১ হাজার ১৬৭ জন, স্কুল বহির্ভূত শিশু ২ লাখ ৯৬ হাজার ৭৮৪ জন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কমিউনিটির ৯ মাস (২৭০ দিন) থেকে ১৫ বছরের কম (১৪ বছর ১১ মাস ২৯ দিন) বয়সী সব শিশু এবং প্রাক প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি/সমমানের সব শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে ১ ডোজ টাইফয়েড প্রতিরোধী টিকা দেওয়া হবে।

মেয়র আরো বলেন, ৬ অক্টোবর পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছে ২ লাখ ৮ হাজার ২৬৭ জন। এর মধ্যে স্কুলের ১ লাখ ৬০ হাজার ১৪৮ জন (৩০ শতাংশ) এবং কমিউনিটি পর্যায়ে ৪৮ হাজার ১১৯ জন (১৬ শতাংশ)। ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য দিয়ে vaxepi অ্যাপে নিবন্ধন চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল আমিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম, চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা কিসিঞ্জার চাকমা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কো-অর্ডিনেটর ডা. ইমন প্রু মারমা, ডা. সরোয়ার আলম, ডা. হোসনে আরা. ডা. তপন কুমার চক্রবর্তীসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on email