ফটিকছড়ি নারায়ণহাট-মিরসরাই সড়ক চলাচল অনুপযোগী,চরম ভোগান্তি স্হানীয়দের

ফটিকছড়ি নারায়ণহাট-মিরসরাই সড়ক চলাচল অনুপযোগী,চরম ভোগান্তি স্হানীয়দের

পাহাড় ধসে পড়ে থাকা মাটি ও ভারী বর্ষণে সড়ক ভেঙে যাওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ফটিকছড়ির নারায়ণহাট–মিরসরাই সড়ক।
প্রতিদিন শত শত যানবাহন ও হাজারো মানুষের যাতায়াতের এ সড়কটি দিয়ে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সবজি, লেবু ও মাছ পরিবহনের অন্যতম মাধ্যম। কিন্তু সড়কের বেহাল অবস্থায় যাত্রীদের ভোগান্তির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্থানীয় অর্থনীতিও।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি নারায়ণহাট বাজার থেকে শুরু হয়ে পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে মিরসরাই সদরে গিয়ে মিলেছে। পথজুড়ে গভীর খাদ, বড় বড় গর্ত আর ধসে যাওয়া অংশে সংকুচিত চলাচলপথ—সব মিলিয়ে বিপজ্জনক এক অবস্থা। অনেক জায়গায় পাহাড় ধসে পড়া মাটিতে রাস্তার উপর তৈরি হয়েছে কর্দমাক্ত স্তর, যেন চাষের জমি।
বিপজ্জনক স্থানগুলোয় স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে লাল কাপড় বেঁধে সতর্কতা জানালেও সড়ক ও জনপথ বিভাগের কোনো কার্যকর উদ্যোগ চোখে পড়েনি। ফলে ধসে পড়া স্থান দিয়ে পারাপারে যাত্রীদের গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে হচ্ছে। পণ্যবাহী যানবাহনকে পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে।

রাস্তার দুই পাশে গজিয়ে ওঠা ঘন ঝোপঝাড় ও বনজঙ্গলের কারণে দৃশ্যমানতা কমে গেছে। এতে চুরি–ছিনতাইয়ের আশঙ্কাও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

নারায়ণহাট–মিরসরাই সড়কে চলাচলকারী অটোরিকশা চালক জয়নাল আবেদীন বলেন, “রাস্তা এমনিতেই সরু, তার ওপর পাহাড় ধসে জায়গায় জায়গায় ভেঙে গেছে। তবু দূরত্ব কম হওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই গাড়ি চালাতে হয়।”

স্থানীয় লেবু ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুস বলেন, “দুদিন আগে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছি। এখন প্রতিদিনই ভয় নিয়ে যাতায়াত করি।”

এনজিও কর্মকর্তা মো. রফিক বলেন, “বিকল্প পথ না থাকায় প্রতিদিন বাধ্য হয়ে এই ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক ব্যবহার করতে হয়। ভয় নিয়েই যাই।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ চট্টগ্রাম অফিসের
উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফারহান বলেন, “অতিবৃষ্টির কারণে সড়কের কয়েকটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় এনে প্রায় ১০ কিলোমিটার অংশ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on email